• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমি মুখ খুললে কাদেরের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:৪১ পিএম
আমি মুখ খুললে কাদেরের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে

ঢাকা: এরিক ও তার মা বিদিশাকে আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সময়মতো সবকিছু জাতির সামনে পরিস্কার করা হবে। সকালে বনানীর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

এর আগে রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাড়িতে খাবার না দেয়াসহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন এরশাদপুত্র এরিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এরিকের ফোন পেয়ে বারিধারায় সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাসভবনে যাওয়ার পর এরিক ও তিনি অবরুদ্ধ আছেন বলে অভিযোগ করেন বিদিশা।

বিদিশার দাবি, গত তিন দিন ধরে বারিধারায় এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে সন্তান এরিককে নিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন তিনি। ৫ম তলা থেকে টেলিফোনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, কোনোক্রমেই এরিকের কাছ থেকে আলাদা করা যাবে না তাকে। এ সময় জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিষয়ে নানা তীর্যক মন্তব্য করেন তিনি।

টেলিফোনে বিদিশা আরো বলেন, 'এখন পর্যন্ত নিচে থেকে কোনো লোকজন কাউকে ভেতরে আসতে দিচ্ছে না। আমার লাশ বের হয়ে গেলেও আমার ছেলেকে নিয়ে কিছু হতে দিব না। আমি মুখ খুললে কাদের সাহেবের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে।'

এরপর গণমাধ্যমের উপস্থিতির কথা জেনে নিচে নেমে আসেন এরিক এরশাদ। তার ভাষ্যমতে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তাকে। এমনকি নিয়মিত খাবার পান না বলেও অভিযোগ করেন এরিক।

এরশাদ পুত্র এরিক গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের আটকে রেখেছে। কাগজপত্র সাইন করিয়েছে। আব্বার অনেক জিনিস নিয়ে গেছে। বেরোতে পারছি না, বেরোলে আর ঢুকতে পারবো না এজন্য।'

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বিদিশার সিদ্দিকের কয়েকজন স্টাফ এসে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে যান প্রেসিডেন্ট পার্কে।

অপরদিকে, দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, বিদিশা এবং এরিক আটকে রাখার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

জিএম কাদের আরো বলেন, আমি কোনো অভিযোগ মেনে নিচ্ছি না। এবং আমি বিশ্বাস করি দেশবাসীও আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মেনে নেবেন না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্তান এরিকের ফোন পেয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে এলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!