• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আম্পায়ারের ভুলে ৬ রান, আবার হবে বিশ্বকাপ ফাইনাল?


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০১৯, ১২:৩৭ পিএম
আম্পায়ারের ভুলে ৬ রান, আবার হবে বিশ্বকাপ ফাইনাল?

ঢাকা: ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে আনন্দের বান ছুটেছে ইংল্যান্ডে। ফাইনালেই সেই আনন্দে কলঙ্কের দাগও লেগে গেছে। ম্যাচ টাই হওয়ার পর তা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও ম্যাচটি টাই হয়ে যায়। বাউন্ডারি মারার নিরিখে ক্রিকেটের জনকরা প্রথমবার শিরোপা হাতে নিয়েছে। বলা হচ্ছে, এমন ফাইনাল আগে কখনো দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব। সত্যি, তাই। ফাইনাল বেশিরভাগ সময়ই হয় একপেশে। সেখানে ১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনাল সব ফাইনালকে ছাপিয়ে গেছে। কিন্তু এর মাঝেও কলঙ্ক লেগেছে ফাইনালের গায়ে। অবশ্য সেখানে খেলোয়াড়দের কোনো দোষ নেই। আম্পায়ারদের ভুল। ইংল্যান্ড যেখানে ৫ রান পায় সেখানে কুমারা ধর্মসেনা দিয়েছেন ৬ রান।

আর এটা নিয়েই এখন ক্রিকেটবিশ্ব তোলপাড়। ইংল্যান্ড যখন বিজয় উৎসব করছে তখনই শুরু এই বিতর্কের। সেই থ্রোটা করেছিলেন মার্টিন গাপটিল। সেই থ্রোয়ের সৌজন্যে ৬ রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। গাপটিলের থ্রো করার সময় রান নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছিলেন বেন স্টোকস। তিনি ডাইভ করার সময় বলটি তার ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। দৌড়ে ২ রান ও বল বাউন্ডারিতে যাওয়ায় আম্পায়াররা ৬ রান দিয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। বিতর্কের শুরু এখানেই।

ক্রিকেটের নিয়ম বলছে, থ্রো হওয়ার সময় যদি দ্বিতীয় রানের জন্য ব্যাটসম্যানরা একে অন্যকে পেরিয়ে গিয়ে থাকেন, তবেই বাউন্ডারির সঙ্গে ২ রান যোগ হয়ে ৬ রান হতে পারে। কিন্তু গাপটিল যখন থ্রো করেছিলেন তখন দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান ‘ক্রস’ করেছিলেন কি না তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেছে, ব্যাটসম্যানরা একে অন্যকে তখনো পেরিয়ে যাননি।

তাহলে কেন ধর্মসেনা ৬ রান দিলেন? এই প্রশ্নটা এখন গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়। ফাইনালের মতো ম্যাচে এমন ভুল কী করে করলেন মাঠের দুই আম্পায়ার। আর এই বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন এক সময়কার আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সাইমন টোফেল। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন এটা আম্পায়ারের ভুল। অবসরে চলে যাওয়া টোফেলের ভাষ্য,‘ সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। ওটা ৬ রান নয় ৫ রান হবে।’

টোফেলের এই বক্তব্যের পরই লর্ডসের ফাইনাল নিয়ে বিরাট বিতর্ক তৈরি করেছে। তাকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি বারবার একই কথা বলেছেন,‘ আমি যেটা বলেছি, সেটাই আবার বলব। সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। এর বেশি কিছু বলার নেই।’

গাপটিলের ওই থ্রোয়ের পর ম্যাচের রং আচমকাই পাল্টে যায়। ওই বলের আগে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩ বলে ৯ রান। ওভার থ্রো থেকে ৬ রান চলে আসায় তা নেমে দাঁড়ায় ২ বলে ৩ রানে। আরও একটা ব্যাপার এখানে লক্ষণীয় যে, আম্পায়াররা ইংল্যান্ড ৫ রানের জায়গায় ৬ রান দিলে স্ট্রাইক পেয়ে যায় স্টোকস। ৫ রান দিলে স্ট্রাইক পেতেন আদিল রশিদ। এত বড় ম্যাচে এত বড় ভুল জানার পর সেটা কেউ মানতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই নিউজিল্যান্ডের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দূর্ভাগ্যের সঙ্গে সবচেয়ে বড় ভুল আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছে নিউজিল্যান্ড। কেউ কেউ তো দাবি করছেন ফাইনালটা আবার হওয়া উচিৎ! সেটা কী আর সম্ভব!

সোনালীনিউজ/আরআইবি

 

 

Wordbridge School
Link copied!