• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আল বিদা ইয়া শাহরু রমাদান


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৪, ২০১৮, ০১:৩৭ এএম
আল বিদা ইয়া শাহরু রমাদান

ঢাকা : আজ ২৮ রমজান। আর একটি অথবা দুটি রোজা আছে। আর এক দিন বা দুই দিন পর বিদায় নেবে পবিত্র রমজানুল মোবারক। আল বিদা ইয়া শাহরু রমাদান ধ্বনিতে বেজে উঠবে রমজান মাসের বিদায় ঘণ্টা। রমজান মাসের বিদায়লগ্নে মুমিন-মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটে। ডুকরে কেঁদে ওঠে মন। পবিত্র এ মাসের বিদায় ধ্বনিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় একজন মুমিন। সবচেয়ে বেশি বেদনায় সিক্ত হয় রোজাদারের অন্তর।

পবিত্র এ মাসের বিদায়বেলায় মুমিন-মুসলমানের মনে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি দাগ কাটে সেটা হলো- ইবাদতের স্বর্ণমৌসুম চলে যাচ্ছে কী অর্জন হলো আমার? পবিত্র এ মাসটির কতটুকু সময় আমল-ইবাদতে ব্যয় করতে সক্ষম হয়েছি আমি? অতীত জীবনের গোনাহকে ক্ষমা করাতে পেরেছি তো?

রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, দুর্ভাগা ওই ব্যক্তি, জাহান্নামি ওই মানুষ এবং ধ্বংস হোক ওই মুসলমান যে রমজানের রোজা পেল কিন্তু নিজের অতীত জীবনের গোনাহ-পাপ ক্ষমা করাতে সক্ষম হলো না। (তিরমিজি) প্রিয় পাঠক! নীরবে একটু ভাবুন। রসুলের (সা.) সতর্কবার্তাটিকে একটু গভীর মনোযোগ নিয়ে বার বার পড়ুন এবং চিন্তা করুন।

পবিত্র এ মাসে কত দিন, কত রাত অতীত জীবনের গুনাহ মাফের জন্য আল­াহ মহানের দরবারে হাত তুলেছি? কতক্ষণ রোনাজারি করেছি মোনাজাতের জায়নামাজে? যদি করে থাকি আলহামদুলিল্লাহ। যদি না করে থাকি তাহলে এখনই সংকল্প করুন এবং কোমর বেঁধে রমজানের বাকি সময়টুকু কাজে লাগানোর জন্য নেমে পড়ুন।

এবার ভাবুন আজকের রোজাটি যদি হয় আপনার জীবনের শেষ রোজা, কাল কিয়ামতের ময়দানে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে কি আপনার? আপনার আমার আশপাশে এমন অনেক মানুষই রয়েছেন গত রমজানে অথবা এই রমজানের শুরুতে এক প্লেটে ইফতার করেছি এবং একসঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করেছি কিন্তু আজ আর তিনি নেই। একবার ভাবুন প্লিজ!

আগামীকাল আপনি আমি থাকব, আগামী রমজানে আবার রোজা পালন করব- এমন নিশ্চয়তা কি আছে আপনার আমার? না নেই। এক সেকেন্ডের গ্যারান্টি নেই মানুষের জীবনের।

সুতরাং আমল-ইবাদতের স্বর্ণমৌসুম রমজানের শেষবেলার প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে ব্যস্ত হওয়া প্রকৃত মুমিন-মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। পবিত্র মাসের এই শেষলগ্নগুলোয় একটি মোনাজাত হোক আপনার আমার জীবনের সেরা পাথেয়।

আসুন আমরা সবাই পবিত্র মাসের শেষ সময়গুলোকে অতীত জীবনের গোনাহ মাফের উত্তম সময় হিসেবে গ্রহণ করে রসুলের (সা.) সুরে প্রার্থনা করি ‘আল­াহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন, তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’ ‘হে আল­াহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন। অতএব, আমাকেও ক্ষমা করুন।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!