• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ, আহত ২১


ঝালকাঠি প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:০৬ এএম
আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ, আহত ২১

ঝালকাঠি : ঝালকাঠি জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন শেষে শহরের অতুল মাঝি খেয়াঘাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পৌর কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির খান এবং যুবলীগ নেতা কামাল শরীফ সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষ ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ১ জন গুলিবিদ্ধসহ দুই গ্রুপের ২১ জন আহত হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়। গুলিবিদ্ধ পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম খান ফারসু (৩৫) কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে ৬ জন। তারা হলো বাবুল হোসেন (৩৮), মিরাজ হোসেন (৩৫), আবির খান (১৭), রিয়াজ মৃধা (৩৯), শাহিন মাঝি (১৯) ও রুবেল খান (৩০)।

এছাড়াও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে সালাউদ্দিন, ইদ্রিস শরীফ, ইলিয়াস শরীফ, সুমন ও সবুজ। ঘটনার সাথে সাথে পালবাড়ি এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিরাজ হোসেন, আবির খান, শাহিন মাঝি জানান, জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল শেষে মিছিল নিয়ে আমরা বাড়ি যাচ্ছিলাম। এসময় পালবাড়ির অতুল মাঝি খেয়াঘাট এলাকায় এলে কামাল শরীফের নেতৃত্বে তার দলবল আকস্মিক হামলা চালায়। এসময় কামাল শরীফ তার পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়লে কাউন্সিলর ফারসু পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন আমাদের ১৫/১৬ জন আহত হয়।

এদিকে কামাল শরীফ এ ঘটনার বিষয়ে জানান, আমি জেলা সম্মেলনে ছিলাম। সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার ভাইসহ ১২/১৩ জনের উপর হামলা চালায় হুমাময়ুন কমিশনারের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি প্রতিপক্ষরা পিস্তল, রামদাও নিয়ে এ হামলা চালায়।  হামলায় আহত আমিসহ সবাই শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।

এই সংষর্ষে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম জানান, বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আহত ২১ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। এরমধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ছিল। তার পা থেকে বুলেট বের করা হয়েছে। আরো কজন চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, দুই গ্রুপের ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কেহ গুলিবিদ্ধ হবার কোন তথ্য আমার জানা নেই। বিশৃংখলা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!