• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক


টঙ্গীবাড়ি (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯, ০২:২৮ পিএম
আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

মুন্সীগঞ্জ) : মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় হিমাগারে সংরক্ষিত আলু নিয়ে বিপাকে পরেছেন চাষীরা। চলতি বছর উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারে আলুর দাম কম থাকায় সংরক্ষিত আলু হিমাগারেই পরে রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে আলুর চাহিদা তত কমছে।

এছাড়াও এ উপজেলার চাষীরা বিগত কয়েক বছর ধরে আলু চাষে লোকসানের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। চলতি বছরেও আলু চাষীরা বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছে।

এ অবস্থায় হিমাগারে সংরক্ষিত আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক সহ হিমাগার মালিকরা।

উপজেলার ধীপুর গ্রামের আলু চাষী জহিরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর আলুতে লোকসান হওয়ার পরও কিছু লাভের আশায় এ বছরেও আলু চাষ করেছি। কিন্তু এ বছরও আলুতে লোসকান হবে।

আলুর পাইকারী ব্যবসায়ী মোতালেব খান জানান, সানোয়ারা কোল্ড স্টোরেজে ২০ হাজার বস্তা আলু রেখেছি তার থেকে ২৫০ বস্তা আলু চট্রগ্রাম আড়তে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে ট্রাক ভাড়া করে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু সেখানেও আলুর দাম নেই।

সানোয়ারা কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার আব্দুল সাত্তার মিয়া জানান, আমাদের কোল্ড স্টোরোজে ৫০ কেজি আলুর ৩ লাখ ৫০ হাজার বস্তা মজুদ রাখা আছে । প্রতিটি বস্তার ভাড়া ১৮০ টাকা নেওয়া হয়। তাছাড়া আমরা প্রতি ৫০ কেজি বস্তাতে ২০০ টাকা ঋণ দিয়ে কৃষকদের আলু সংরক্ষণ করেছি।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের কোল্ড স্টোরোজে ২ লাখ ৮০ হাজার বস্তা আলু এখনো রয়েছে। আলুর দাম না থাকায় কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা এ আলু স্টোর থেকে বের করে নিচ্ছে না। যদি তারা আলু বের করে না নেয় তাহলে আমরা বড় ধরনের লোকসানে পরবো।

টঙ্গীবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর উপজেলায় ১০ হাজার ১০ হেক্টর আলু ফলন হয়েছে। হিমাগার রয়েছে মোট ৩১টি এর মধ্যে ৩টি হিমাগার লোকসানের মুখে বন্ধ রয়েছে। চালু রয়েছে ২৮টি হিমাগার। এ হিমাগারগুলোতে আলু রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৬ মেট্রিক টন।

দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীদের দাবী এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আলু রপ্তানির ব্যবস্থা সহ কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাতে সেদিকে সু-নজর দেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!