• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আশরাফুলের তাণ্ডবে অবাক দক্ষিণ আফ্রিকা!


রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ মে ২৪, ২০১৯, ০৯:৪৫ পিএম
আশরাফুলের তাণ্ডবে অবাক দক্ষিণ আফ্রিকা!

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: একেবারে পাগুলে বিশ্বকাপ বলতে যা বোঝায়, ২০০৭ ক্যারিবীয় বিশ্বকাপ ছিল সে রকমই। গ্রুপ পর্বেই বাংলাদেশের কাছে হেরে বিরাট ধাক্কা খেল ভারত। সেই ধাক্কার জের ভারতের অব্যাহত থাকল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচেও। লঙ্কানদের কাছে হেরে প্রথম পর্বেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো রাহুল দ্রাবিড়ের টিম ইন্ডিয়াকে।

অন্য গ্রুপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গেল পাকিস্তানও। তাদেরও ছিটকে পড়তে হলো গ্রুপ পর্ব থেকেই। শুধু তা-ই নয়, ওই ম্যাচের পর তখনকার পাকিস্তান কোচ বব উলমারের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। ল্যাপটপ কোচ বলে পরিচিত উলমারের লাশ উদ্ধার করা হয় জ্যামাইকার একটি হোটেল থেকে।

শুধু গ্রুপপর্বই নয় ক্যারিবীয় বিশ্বকাপ আরও চমক দেখে সুপার এইটে গিয়ে। আর এখানেও যথারীতি হাজির বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের স্পিন জালে আটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬৭ রানের জয় দিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল।

সেদিন কী ঘটেছিল গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে? টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ কম রানে বাংলাদেশকে বেধে ফেলতে ব্যাট তুলে দেন হাবিবুলের হাতে। কিন্তু তামিম ইকবালের সঙ্গে দারুন শুরু এনে দেন জাভেদ ওমর। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৪২ রান। যেখানে জাভেদের অবদান ৪১ বলে ১৭। নিজের মতো খেলে ৫৯ বলে ছয় চারের সাহায্যে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তামিম।

তবে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটে ২৫১ রান তোলার নেপথ্যে বড় ভুমিকা বাংলাদেশের প্রথম সুপার স্টার মোহাম্মদ আশরাফুলের। তখন সবাই বিশ্বাস করত আশরাফুল যেদিন বড় ইনিংস খেলবেন সেদিন বাংলাদেশের। হলোও তাই। শন পোলক, মাখায়া এনটিনি, চার্লস লেঙ্গাভেল্টদের একের পর এক সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন আশরাফুল। ৮৩ বলে খেললেন ৮৭ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পথে বলকে বারো বার বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন আশরাফুল। এছাড়া আফতাব আহমেদ ৪৩ বলে ৩৫ করেন। আর শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা (১৬ বলে ২৫)। ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন আন্দ্রে নেল।

রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে নাকাল হয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। এক হার্শেল গিবস (৫৬*) ছাড়া বাকিদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ করেন জ্যাক ক্যালিস। আব্দুর রাজ্জাক ২৫ রানে ৩টি, সৈয়দ রাসেল ৪১ রানে ২টি, সাকিব আল হাসান ৪৯ রানে ২টি ও মোহাম্মদ রফিক ২২ রানে নেন ১টি উইকেট। অবধারিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন আশরাফুল।

এক কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশের কাছে ক্যারিবীয় বিশ্বকাপ ছিল সোনায় মোড়ানো। এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেললেও একসঙ্গে দুই বিশ্বসেরাকে হারানোর স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। এত সব অর্জনের মাঝে একটা দুঃখও আছে। সুপার এইটে আয়ারল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের হার। এটুকু বাদ দিলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা অর্জন ক্যারিবীয় বিশ্বকাপেই (২০১৫ বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত)।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!