• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক অব্যাহত


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮, ১১:৩৮ এএম
আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক অব্যাহত

ঢাকা : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তিতর্ক শুনানির ৪০তম দিবসে মামলার আসামি মাওলানা মো. সাঈদ ওরফে ডাক্তার জাফরের সমর্থনে যুক্তিতর্ক পেশ সমাপ্ত হয়েছে। আসামি মাওলানা মো. সাঈদের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী চার কার্যদিবসে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সমাপনী বক্তব্যে তার মক্কেলকে নির্দোষ দাবি করে খালাসের আর্জি জানান। পরে অপর আসামি উজ্জ্বল ওরফে রতনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে মামলার বিচার চলছে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর থেকে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদাবক্স চৌধুরী, লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক এবং মামলার সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তা- সিআইডির সাবেক এসপি রুহুল আমিন, সিআইডির সাবেক এএসপি আতিকুর রহমান ও আবদুর রশিদসহ মোট ৮ জন জামিনে রয়েছেন।

লন্ডনে সপরিবারে প্রবাসী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২২ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নী আইভি রহমান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই গ্রেনেড হামলা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!