• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আড়ংয়ের ট্রায়াল রুমে গোপনে ভিডিও, তরুণীকে কুপ্রস্তাব


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ০৯:৫৩ এএম
আড়ংয়ের ট্রায়াল রুমে গোপনে ভিডিও, তরুণীকে কুপ্রস্তাব

ঢাকা : আড়ংয়ের ট্রায়াল রুমে গোপনে ভিডিও করে এক তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী এক তরুণী। রাজধানীর বনানীর আড়ংয়ের আউটলেটের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী তরুণী এই অভিযোগ আনে।

অভিযোগে ওই তরুণী বলেন, সে বনানী আড়ংয়ের আউটলেটে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। একই আউটলেটে কর্মরত অবস্থায় তারই সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম সজীব গোপনে ট্রায়াল রুমে তার পোশাক পরিবর্তন করার ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপসহ বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে।

এসব অভিযোগ এনে সিরাজুল ইসলাম সজীবের বিরুদ্ধে বনানী থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী ১৬ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি রাতে বনানী আড়ংয়ের সাবেক সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম সজীব তার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে একটি ভিডিও পাঠায়। তিনি ভিডিওটি খুলে দেখেন যে, বনানী আড়ংয়ের আউটলেটের ট্রায়াল রুমে তার পোশাক পরিবর্তন করার দৃশ্য। পরে একই রাতে সজীব তাকে ভিডিও কলে এসে শরীর দেখাতে বলে এবং এর পরের দিন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাপ দেয়। পরে তিনি এসব বিষয়ে রাজি না হলে তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সজীব। পরে তরুণীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সত্যতা পায়। মামলার তদন্তে পুলিশ একই আউটলেটের ট্রায়াল রুমে সজীবের করা এমন আরও অনেক গোপন ভিডিওর সন্ধান পায়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জানায়, ২০১৯ সালে বনানী আড়ংয়ে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সময় সজীব ভুক্তভোগী তরুণীসহ তার আরো চার সহকর্মীর পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করেন। পরে সে এসব ভিডিও সহকর্মীদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিতেন। কেউ রাজি না হলে গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন।

কর্মকর্তারা আরো জানায়, গত বছর এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার দায়ে ডিসেম্বরে সজীবকে চাকরিচ্যুত করে আড়ং। কিন্তু নিজেদের ব্র্যান্ড রেপুটেশন নষ্ট হওয়ার ভয়ে এ বিষয়ে আড়ং পুলিশে কোনো অভিযোগ করেনি। শুধুমাত্র তাকে চাকরিচ্যুত করে দায়িত্ব সারে আড়ং। ফলে সজীবের কাছে থাকা গোপন ভিডিওগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে তার কাছে থাকা ভিডিও থেকেই একটি ভিডিও পাঠিয়ে গত ১১ তারিখ রাতে ওই তরুণীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেন সজীব।

এ বিষয়ে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, পুলিশ সজীবকে ২৫ জানুয়ারি গ্রেফতার করে। সজীবের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে আড়ংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভির হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!