ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ, ৪২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

বাগেরহাট : জেলার মোরেলগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান। একই সঙ্গে কনে পক্ষের তিনজনকে আটক করে ৪২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিনি এ দণ্ডাদেশ দেন। বিয়ে বাড়ি থেকে একটি ভুয়া জন্ম সনদও উদ্ধার করেছেন ইউএনও।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান জানান, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর সূতালড়ী গ্রামের ইলিয়াস সরদার তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের আলী আজগরের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করেন।

খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ইউএনও পুলিশ নিয়ে পৌঁছান বিয়ে বাড়িতে। সেখান থেকে জব্দকৃত জন্ম সনদে মেয়েটির বয়স ১৯ বছর যা প্রকৃত বয়সের চেয়ে ৭ বছর বেশি।

ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের সহায়তায় জালিয়াতির আশ্রয়ে এমন জন্ম সনদ তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সচিব প্রভাংশ কুমার রায়ের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইউএনও জানান।

ইউএনও’র উপস্থিতিতে ইলিয়াস সরদারসহ কনে পক্ষের ৪ শতাধিক অতিথি খাবার ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশের হাতে আটক হন কনের চাচা অলিয়ার রহমান শেখ (৫০), হাফেজ মো. আবু বকর সিদ্দিক ও মো. জিয়ার হাওলাদার (৩২)। এ তিন জনকে ৪২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন ইউএনও।

এদিকে কনের বাড়িতে ইউএনও হানা দিয়েছেন এমন খবর পেয়ে বরপক্ষ মাঝপথ থেকেই যে যার মত আত্মগোপনে চলে যান। বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে ৫০০ অতিথির ভুরিভোজের জন্য রান্না করা হয়েছিল দুটি গরু, ৭টি খাসি ও আড়াই মণ মুরগির গোস্ত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর