• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপে জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে রায়


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৩১, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম
ইউরোপে জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে রায়

ঢাকা : ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি (অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যিক সুবিধা) সুবিধা বাতিল করার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ন্যায়পাল কার্যালয়। গত ২৪ মার্চ ইইউ’র ন্যায়পাল অফিস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি খারিজ করে দেয়।

শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা চারটি সংগঠনের ওই অভিযোগটি খারিজ করে দিয়ে ইইউ’র ন্যায়পাল অফিস বলে, ‘শ্রম পরিবেশ ইস্যুতে ন্যায়পাল কার্যালয়ের তদন্তে বাংলাদেশের তেমন কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের শ্রমমান উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং যেভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে, তা ঠিক আছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে ইউরোপীয় কমিশন নেবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানাব।

তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ন্যায়পাল কার্যালয়ের আদেশটি আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক।

ঢাকা ও ব্রাসেলসের কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ন্যায়পাল কার্যালয়ের আদেশটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতসহ সার্বিক অর্থনীতির জন্য বড় একটি সুখবর। ন্যায়পালের কার্যালয় আদেশে বলেছে যে, তারা তাদের তদন্তে বাংলাদেশের প্রতি সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশের শ্রমমান উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ইউরোপীয় কমিশন দেশটির সরকার, মালিক, শ্রমিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে যেভাবে কাজ করছে এবং যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সন্তোষজনক। তাই এ বিষয়ে চাইলে ইউরোপীয় কমিশন পরবর্তী সময়ে তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

কূটনীতিক সূত্রগুলো আরো জানায়, এই সময়ে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইবিএসহ বেশকিছু অফিসিয়াল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে জোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

২০১৬ সালে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা চারটি সংগঠন ইইউ’র ন্যায়পাল অফিসে বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে জিএসপি সুবিধা বাতিলের আবেদন জানায়। ওই আবেদনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশে সঠিক শ্রম পরিবেশ নাই এবং শ্রমিকদের ন্যায্যা অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ ইউরোপীয় কমিশন বিষয়টি দেখছে না। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে এবং তদন্ত করে ইইউতে পাওয়া বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হোক।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!