• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইকোসকের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৫, ২০১৯, ১০:০৭ এএম
ইকোসকের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ

ঢাকা: এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ১৮১ ভোট পেয়ে ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। সে অনুযায়ী আগামী ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তিনবছর মেয়াদে (২০২০-২০২২) ইকোসকে বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করবে।

বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে এ নির্বাচনে থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন বিজয়ী হয়েছে। এই বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্মে ও বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম ইকোসকে তার দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করলো।

শুক্রবার (১৪ জুন) জাতিসংঘ সদরদফতরে অনুষ্ঠিত ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক)’ এর সদস্য পদে ২০২০-২০২২ মেয়াদের নির্বাচনে বাংলাদেশ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট মর্যাদাপূর্ণ এই পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৯১ ভোটের মধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নেন্দা এপ্সিনোসা গার্সেজ এর সভাপতিত্বে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গোপন ভোটে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে এই বিজয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক অনন্য উপহার। গতবছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ অভিমুখে অগ্রযাত্রার প্রাথমিক ধাপ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। টেকসই উত্তরণ নিশ্চিতে ইকোসকের এই সদস্যপদ লাভ আমাদের আরও সামনে এগিয়ে নেবে। এছাড়া এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নেও এ বিজয় নতুন গতি আনবে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলস্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নেরই প্রতিফলন এ বিজয়। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও এর পাশপাশি সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অন্যান্য দূতাবাস এবং মিশনগুলোতে এই নির্বাচন উপলক্ষে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছে, তাই এই বিজয় আমাদের টিমওয়ার্কেরই স্বীকৃতি।

এছাড়া ইকোসকের সদস্যপদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইকোসকের আওতাধীন বিভিন্ন ফোরাম, কমিশন, কমিটি, নির্বাহী বোর্ড ও আঞ্চলিক ফোরাম যেমন ইউএনএসকাপ এর সঙ্গে এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং বাংলাদেশের সর্বোত্তম উন্নয়ন অনুশীলনগুলো বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!