• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে কৃষি কাজ, দিনে আয় ৪০ হাজার টাকা!


নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৭:৪৩ এএম
ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে কৃষি কাজ, দিনে আয় ৪০ হাজার টাকা!

ঢাকা : সাধারণত চাষি বলতে যে ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা এরকম নয়। এ কৃষক টি-শার্ট, ট্রাউজার আর স্নিকার পরা। একারণে তাকে মোটেই চাষির আওতায় ফেলা যায় না। কিন্তু বাস্তবে তিনি চাষিই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি ছেড়ে শুরু করছেন চাষাবাদ। বর্তমানে তার আয় দিনে ৪০ হাজার টাকা!

দিল্লীর পাল্লা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন অভিষেক ধাম্মা। তার বাবা একজন চাষী। পারিবারিক ২৫ একর ছবিতে তার বাবা কৃষিকাজ করতেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই অভিষেকের কৃষিকাজ পছন্দ ছিল না। সে তার বাবার কৃষিকাজের বিরোধীতা করতো। তার কাছে কৃষিকাজের অর্থ ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে রোদের মধ্যে পরিশ্রমের কাজ। কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে সামান্য কিছু অর্থ।

২০১৪ সালে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অভিষেক পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর কৃষিকাজ সম্পর্কে তার চিন্তার পরিবর্তন ঘটে।

চিরকালই নিজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে ভীষণ সচেতন অভিষেক জিম শুরু করার পর ক্রমে বুঝতে শুরু করেন, সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পুষ্টির কতটা প্রয়োজন। তার ডায়েট কী ভাবে স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করে দেন। খাবারে কীটনাশকের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক এড়ানোর জন্য প্রথমে একটা ছোট বাগান করেন।

যমুনা নদীর তীরে তাদের ছোট একটা জমি ছিল। ঠাকুরদা সেখামে মন্দির করে দিয়েছিলেন। নদীর তীরে হওয়ায় জমির উবর্রতাও খুব বেশি ছিল। নিজেদের চাষাবাদের বিশাল জমির দিকে না গিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এই জমিতেই নিজের জন্য জৈব চাষ করতে শুরু করে দেন। কারণ সঠিক প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা ছাড়া পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষে ভরসা পারছিলেন না তিনি।

এক বছর পর যে ফলন তিনি পেলেন, তার সঙ্গে স্বাদে, রঙে বাজারে বিক্রি হওয়া ফসলের বিস্তর ফারাক নিজের চোখেই দেখতে পেলেন। সঙ্গে জৈব চাষের অভিজ্ঞতাও হল। এর পর তিনি পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষ করা শুরু করলেন। বাড়িতে জৈব সার বানিয়ে ফসল ফলানো শুরু হল।

রোজ ১৫-২০ মিনিট মাত্র লাগে গাছে জল দিতে তাঁর। সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিকে ফসল ফলিয়ে যাচ্ছেন এই ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। জমিতে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টও লাগিয়েছেন। জমির সমস্ত বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করেন এবং সেই গ্যাসেই বাড়িতে রান্না হয়।

স্বাস্থ্য আর অর্থ দুটোই এক সঙ্গে পেয়েছেন অভিষেক। প্রতি দিন এখন ৪০ হাজার টাকা উপার্জন তার। এত দিন যে পেশাকে এড়িয়ে চলতেন, এখন সেটাই তাঁর কাছে গর্বের, জানাচ্ছেন অভিষেক।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!