• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইতিকাফে কী করা যাবে, কী করা যাবে না


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৬, ২০১৮, ০৭:৪৯ পিএম
ইতিকাফে কী করা যাবে, কী করা যাবে না

ঢাকা : রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত ইতিকাফ। এ মাস ছাড়াও ইতিকাফ করা যায়। তবে রমজানে ইতিকাফের মর্যাদা ও ফজিলত বেশি। শুদ্ধভাবে ইতিকাফ করার জন্য এর বিধান জানা জরুরি। ইতিকাফের শর্ত, আদব ও ইতিকাফে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না- এসব বিষয় না জানা থাকলে সঠিকভাবে ইতিকাফ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

শুদ্ধভাবে ইতিকাফ আদায় হওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। অন্যতম শর্ত হলো- নিয়ত করা। নিয়ত ছাড়া ইতিকাফ সহিহ হবে না। জামে মসজিদে ইতিকাফ করা। নারীরা নিজ গৃহে নামাজের স্থানে বা অন্য পবিত্র স্থানে ইতিকাফ করবে।

এ ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো- মুসলমান হওয়া, জ্ঞানবান হওয়া, অপবিত্রতা এবং হায়িজ ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া। বালিগ বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া ইতিকাফের শর্ত নয়। তাই জ্ঞানবান নাবালিগরাও ইতিকাফ করতে পারবে। নারীর জন্য স্বামীর অনুমতি নিয়ে ইতিকাফ করা জায়েজ। নারীর জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা নাজায়েজ। (বুখারি, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৭২)।

ইতিকাফে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না- বিনা ওজরে দিনে বা রাতে সামান্য সময়ের জন্য মসজিদ থেকে বের হলেও ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়। অনুরূপভাবে নারীরা তার ঘরের নির্ধারিত স্থান থেকে বের হবে না। পেশাব-পায়খানা ও জুমা আদায় ইত্যাদি ওজরের কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ। ইতিকাফের স্থানে ঘুমাবে ও পানাহার করবে। কোনো কারণে যদি মসজিদ ভেঙে যায় অথবা জোরপূর্বক মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয় তাহলে ইতিকাফকারী ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য মসজিদে চলে যাবে, এতে ইতিকাফ নষ্ট হবে না। জান বা মালের ক্ষতির আশঙ্কা হলেও এই হুকুম প্রযোজ্য হবে।

অসুস্থ ব্যক্তিকে সেবা করার জন্যও মসজিদ থেকে বের হবে না। কোনো মৃত ব্যক্তিকে দেখার উদ্দেশ্যে বা তার জানাজা আদায়ের উদ্দেশ্যে ইতিকাফ থেকে বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য মানতের ইতিকাফের সময় যদি রোগীর সেবা, জানাজার নামাজ ও ইলমের মজলিসে যাওয়ার শর্ত করে, তা হলে এসব তার জন্য জায়েজ হবে। ইতিকাফকারী ব্যক্তি মুয়াজ্জিন হোক বা অন্য কেউ হোক, আজানের জন্য মিনারে আরোহণ করলে ইতিকাফ নষ্ট হবে না। মিনার মসজিদের বাইরে হলেও।

এ ছাড়া ইতিকাফ নষ্ট হওয়ার একটি কারণ হলো- সহবাস বা সহবাসের দিকে আকৃষ্টকারী কাজ, তা দিনেই হোক বা রাতেই হোক। স্বপ্নদোষে ইতিকাফ নষ্ট হয় না। কয়েকদিন পাগল বা বেহুশ থাকার ফলে লাগাতার ইতিকাফ করতে না পারলেও ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়। একেবারে চুপ থাকাকে ইবাদত মনে করে সারাক্ষণ চুপ থাকলে ইতিকাফ মাকরু হয়।

অন্যথায় মুখের গুনাহ থেকে চুপ থাকা বড় ইবাদত। ইতিকাফের স্থানকে ব্যবসাস্থল বানানো মাকরু। ওয়াজিব ইতিকাফ যে কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেল তার কাজা করা ওয়াজিব।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!