• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিবাচক মানসিকতাকে হারের প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন মাশরাফি


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬, ০১:২০ পিএম
ইতিবাচক মানসিকতাকে হারের প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন মাশরাফি

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সফরকারী দলগুলোর জন্য এমনিতেই কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে। তাতে শুরুটা ভালো করতে না পারলে সবকিছু আরো কঠিন হয়ে উঠতে থাকে। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ক্রাইস্টচার্চে সোমবার ৭৭ রানে হারের পর মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনেও এখন তেমন পরিস্থিতি। তবে এক হারেই সবকিছু শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন না টাইগার অধিনায়ক। বরং ‘ইতিবাচক মানসিকতা’কে হারের মাঝে প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তিনি।

মাশরাফিরা জানতেন, চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিনই। আর এটি জয় করতে হলে শুরুটা ভালো হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড মিশনের শুরুটা যে মোটেও ভালো হলো না! বেশ বড় হারই সঙ্গী সফরের প্রথম ম্যাচে। তবে ৭৭ রানের এই হারের পরপরই যে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, সেটি মনে করেন না অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ঘুরে দাঁড়িয়ে এখনো সাফল্য পাওয়ার আশাটা তাঁর আছেই।

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনটা যেকোনো দলের জন্যই অনেক কঠিন। এই কন্ডিশনে লড়াই করতে হয় প্রায় সব দলকেই। বাংলাদেশের জন্য ব্যাপারটা যেন একটু বেশিই কঠিন। কোচ হাথুরুসিংহে ম্যাচের আগের দিন বলেছিলেন, মানসিকভাবে এগিয়ে থাকার জন্য শুরুটা ভালো হওয়া খুব জরুরি। প্রথম ম্যাচটা তাই ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি সেভাবে কিছু বলেননি। তবে বোঝাই গেছে, জয় দিয়েই অভিযান শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি আর হলো কোথায়!

বোলাররা আশা অনুযায়ী বোলিং করতে পারেননি। ফিল্ডিংয়েও চোখে পড়েছে ঢিলেঢালা ভাব। হতাশ করেছেন ব্যাটসম্যানরাও। সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুটা বাংলাদেশের প্রত্যাশার ধারেকাছেও ছিল না। মাশরাফি মনে করেন, ‘যেকোনো সফরেই প্রথম ম্যাচটা কঠিন থাকে। অন্য একটা দেশে গিয়ে সেখানকার কন্ডিশন আর উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয় থাকে।’

তবে সফর এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের উন্নতির আশা রাখছেন মাশরাফি, ‘প্রথম ম্যাচটা সব সময়ই কঠিন। তবে আমি মনে করি, এই সিরিজের আরও অনেক কিছুই বাকি আছে। এখনো আমাদের অনেক কিছুই করার আছে।’ তিনি ম্যাচ হারের জন্য বাজে ফিল্ডিংটাকেও দায়ী করেছেন। তা না হলে ম্যাচের চিত্র অন্য রকম হতে পারত। 

ক্রাইস্টচার্চে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ফিল্ডিংটা সত্যিই বেশ ঢিলেঢালা ছিল। তিনটি ক্যাচও ফেলেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সাকিব আল হাসানের বলে নিল ব্রুমের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদউল্লাহ। মাশরাফির বলে উইকেটের পেছনে টম ল্যাথাম ক্যাচ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। যদিও ক্যাচটি কঠিন ছিল, কিন্তু সেই ক্যাচটিই নিতে পারলে ১১৫ রানে ফিরে যেতেন ল্যাথাম। সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের রানটাও কম হতে পারত। পরে তিনি করেছেন ম্যাচ সর্বোচ্চ ১৩৭ রান। মিডউইকেটে সাকিবের বলে কলিন মানরোর ক্যাচ ছাড়েন মোসাদ্দেক হোসেন।

ওয়ানডেতে ল্যাথামের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস আর মানরোর ৬১ বলে ৮৭ রানেই ম্যাচটি বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের নাগাল থেকে। নিউজিল্যান্ডকে তিন শর আশপাশে বেঁধে রাখতে পারলে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমরা ফিল্ডিংয়ে একটু ঢিলেঢালা ছিলাম। আমরা জানতাম এখানে তিন শর বেশি রান হবেই। আমরা যদি বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে ৪০-৫০টা রান কম দিতাম তাহলে দ্রুত দুই-তিনটি উইকেট পড়ার পরও আমাদের সুযোগ থাকত।’

বাংলাদেশের সেই সুযোগটা কেমন হতে পারত? শুনুন মাশরাফির কণ্ঠেই, ‘আসলে আমি ফিল্ডিংয়ের কথাই বলব। এখানে আমরা ৪০-৫০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। এর কারণেই সমস্যা হয়েছে। ৩৪০ চেজ করা আসলে সব সময়ই কঠিন। আপনাকে সব সময়ই শট খেলতে হবে। তবে রানটা তিন শ বা তার আশপাশে বেঁধে রাখতে পারলে বিষয়টা অন্য রকমও হতে পারত।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!