• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইমরান থেকে মাশরাফি, ক্রিকেটের নায়ক রাজনীতির নায়ক


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুলাই ১৭, ২০১৯, ১২:২৫ পিএম
ইমরান থেকে মাশরাফি, ক্রিকেটের নায়ক রাজনীতির নায়ক

ঢাকা : ২২ গজ কাঁপিয়ে রাজনীতির মাঠও কাঁপিয়েছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই উপমহাদেশে সেই সংখ্যাটা বেশি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান তো এখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

সবশেষ রাজনীতির মাঠে জড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি নড়াইল-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। একই সঙ্গে এমপি ও বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম ক্রিকেটার বোধহয় মাশরাফি।

বিশ্ব ক্রিকেটে দুর্দান্ত এক খেলোয়াড় ছিলেন পাকিস্তানের ইমরান খান। তিনি ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। ফলে দেশটিতে ইমরান কিংবদন্তিতে পরিণত হন। পাকিস্তানের ক্রিকেটের কথা উঠলে ইমরানের কথা চলে আসতে বাধ্য। ক্রিকেট বিদায় জানানোর পর রাজনীতির মাঠে নেমে পড়েন ইমরান। তাঁর দলের নাম তেহরিক-ই-ইনসাফ। দীর্ঘ ২০ বছর রাজনীতির হাত পাকিয়ে ইমরান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

ইমরান পাকিস্তানকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ৯২ বিশ্বকাপে। এর ঠিক চার বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৬ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপ জেতান অর্জুনা রানাতুঙ্গা। তাঁকে লঙ্কার ক্রিকেটে রুপকথার নায়কও বলা হয়ে থাকে। পরে রানাতুঙ্গাও রাজনীতিতে আসেন।

২০১৫ সালে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জ্বালানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এর আগে তিনি জুনিয়র পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন।

শচীন টেন্ডুলকারের এক সময়কার ওপেনিং সঙ্গী নভজ্যোত সিং সিধু ২০০৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনয়ন নিয়ে পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন।

২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই আসনের সাংসদ ছিলেন। ২০১৬ সালে সিধুকে রাজ্য সভার সদস্য মনোনীত করা হয়। কিন্তু ওই বছরই তিনি রাজ্য সভা থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে ভারতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। পাঞ্জাবের বিধান সভার সদস্য নির্বাচিত হন।

বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবের স্থানীয় সরকার, পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দূর্জয়ও এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটও পেয়েছিলেন দূর্জয়। ক্রিকেটকে বিদায় বলার তিনিও রাজনীতিতে পাঠ নেন। মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নাঈমুর। বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের একজন এমপি।

দূর্জয়ের নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও কাঁপিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিঃসন্দেহে এদেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের মধ্যে অন্যতম নড়াইল এক্সপ্রেস। তাঁর নির্বাচনে নড়াইল তো বটেই গোটা দেশেই হইচই পড়ে যায়। তিনি বিপুল ভোটে নড়াইল-২ আসন থেকে বিজয়ী হন।

একই সঙ্গে এমপি এবং বাংলাদেশের অধিনায়ক, এ রকম নজির আর কেউ বিশ্বে দেখাতে পেরেছেন কিনা বলা মুশকিল। বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে গিয়েছিল বাংলাদেশ সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে। সে আশা পূরণ হয়নি। মাশরাফির পারফরম্যান্স নিয়েও বেশ সমালোচনা হচ্ছে। হয়তো খুব শিগগিরই তিনি অবসরের বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এর মাঝেই মাশরাফির মন্ত্রী হওয়া নিয়েও গুজব তৈরি হয়েছিল। যদিও সেটা এখনো অবধি গুজবই রয়ে গেছে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!