• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইমরুলের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে পুত্র


রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ, অক্টোবর ২১, ২০১৮, ০৬:৪৩ পিএম
ইমরুলের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে পুত্র

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে ক’জন ক্রিকেটার ভালো করলেও সবসময় প্রচারের আলোয় আসেন না তাদের মধ্যে তিনি একজন। তামিম ইকবালের সঙ্গে লম্বা সময় ধরেই টেস্ট এবং ওয়ানডেতে ওপেনিং করেছেন। কিন্তু নিজের জায়গাটা ৩১ বছরেও পাকা করতে পারেননি। এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন কার কথা বলা হচ্ছিল-ইমরুল কায়েস। ক্যারিয়ারে যা সুযোগ পেয়েছেন এতদিনে বিশ্বসেরাদের কাতারে থাকতে পারতেন। ঠিক এখন যেমন তামিমের নাম উচ্চারিত হয়। ইমরুল সেটি পারেননি। এর খেসারত তাঁকে দিতে হয়েছে বারবার দল থেকে বাদ পড়ে।

সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দলে ছিলেন না ইমরুল। তামিমের চোট ও ওপেনিং জুটির নিদারুন ব্যর্থতায় জরুরি নোটিশে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয় ইমরুল কায়েসকে। অবশ্য তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌম্য সরকারও। ভ্রমণক্লান্তি নিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে মাঠে নেমেই অপরাজিত ৭২ রানের মহামূল্যবান এক ইনিংস খেলেন ইমরুল। তাঁর ইনিংসটি বাংলাদেশকে জেতাতে বড় ভুমিকা রাখে।

পাকিস্তান ও ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ‘দূর্ভাগ্যজনক’এলবিডব্লুয়ের শিকার হলেও ইমরুলের আত্মবিশ্বাসে যে চিড় ধরেনি সেটি বোঝা গেল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই। ১৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। মনে হচ্ছিল, এশিয়া কাপের শুরুর বিভীষিকা আবার ফিরছে হোম অব ক্রিকেটে। একমাত্র ফাইনাল ছাড়া যে এশিয়া কাপে ওপেনিং জুটি প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছে। এদিন ‘পোড়’ খাওয়া ইমরুল চোয়ালবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুশফিকুর রহিম ফিরে গেলে তিনি বুঝে গেলেন যা করার আজ তাঁকেই করতে হবে।

প্রথমে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ভালো একটা ভিতের ওপর দাঁড় করান। ১৩৭ রানে মিঠুন (৩৭) মিঠুন আউট হতেই ছোট এক ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। মাত্র ২ রানের মধ্যে ফিরে যান আরও দুজন-মাহমুদউল্লাহ (০) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (১)। ননস্ট্রাইকে থেকে সতীর্থদের আত্মহত্যার মিছিল দেখে বিরক্ত ইমরুল দমেননি। ৬৪ বলে ফিফটি ছুঁলেন। সেঞ্চুরি করলেন ১১৮ বলে আট চার আর তিন ছয়ের সৌজন্যে।

এরপর ইমরুল যে উদযাপনটা করলেন সেটি দেখার মতো। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটিকে তিনি তাঁর সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে উৎসর্গ করলেন। এশিয়া কাপের ঠিক আগে আগে ইমরুল-রুবাইয়া দম্পতির ঘর আলো করে এসেছে এক পুত্র সন্তান। এখন তো মনে হচ্ছে, পুত্র সৌভাগ্য বয়ে এনেছে ইমরুলের জন্য।

১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ কাঁপছিল! দুশোর আগেই অলআউট হয় কি না শঙ্কা জেঁকে বসেছিল। ইমরুল নবাগত অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে নিয়ে সব শঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করলেন ১২৭ রান। ততক্ষণে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে ২৬৬ রানে। আর ইমরল যখন ফিরছিলেন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১৪৪।

ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলতে ১৪০ বল খেলেছেন। চার মেরেছেন ১৩টি আর ছক্কা ছয়টি। সাইফউদ্দিনও পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। কাটায় কাটায় ৫০ করে তিনি ফিরে গেছেন। ৬৯ বলে তিন চার আর এক ছয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান সাইফউদ্দিন। তবে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে যেভাবে টেনে তুললেন ইমরুল
তাতে ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী হওয়ার পথে জোরকদমেই এগিয়ে গেলেন।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!