• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইরাকে মার্কিন দূতাবাস ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ০৯:৩৪ এএম
ইরাকে মার্কিন দূতাবাস ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস

ঢাকা : ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস চত্বরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজনের প্রাণহানিসহ অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। যদিও হতাহতদের পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ দিকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরাসরি মার্কিন দূতাবাসে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

পৃথক সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানায়, রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলাটি চালানো হয়। এ সময় তিনটি মিসাইল সরাসরি মার্কিন দূতাবাসের ভবনে আঘাত হানে। হামলার পরপরই এলাকাটিতে উচ্চ সতর্কতামূলক সাইরেন বাজতে শোনা যায়।

এএফপির সংবাদদাতা বাগদাদের টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম তীরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। সেখানেই মার্কিন দূতাবাসসহ বেশিরভাগ বিদেশি কূটনৈতিক মিশন অবস্থিত। তবে এখন পর্যন্ত কেউ বা কোনো সংগঠন ভয়াবহ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, চলতি মাসে আরও কয়েক দফায় এলাকাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। যদিও হামলাগুলোর জন্য ইরান সমর্থিত দেশটির আধাসামরিক বাহিনীকেই দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো পক্ষই এখনো এসব আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি।

এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি ভোররাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। যদিও বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!