• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলাম মানেন না জঙ্গিরা!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ১৭, ২০১৬, ০৬:০৯ পিএম
ইসলাম মানেন না জঙ্গিরা!

ঢাকা: ইসলাম ধর্মের নাম ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গজিয়ে ওঠা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জঙ্গিদের নেই কোনো ধর্মীয় শিক্ষা। তারা ধর্ম বা ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনেও চলেন না।

সম্প্রতি মার্কিন একটি সামরিক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। গবেষণায় পাওয়া গেছে, জঙ্গি সংগঠনগুলোতে যোগ দেয়ার পেছনে ধর্মীয় কোনো কারণও নেই। মূলত ধর্মীয় শিক্ষা আর বিধিবিধান না মানা জনশক্তিকেই নিজেদের কাজের জন্য নিয়োগ দেয় জঙ্গিসংগঠনগুলো।

প্রায় ১২০০ জঙ্গির ওপর জরিপ চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গবেষণা সংস্থা কম্ব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার (সিটিসি) এসব তথ্য দিয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস-সহ ইরাক এবং সিরিয়া কেন্দ্রিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোতে বিদেশি যোদ্ধাদের যোগদানের পেছনে শক্তিশালী ধর্মীয় কোনো উদ্দেশ্য নেই। যদিও তারা ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছে। তারা দখল করা এলাকাকে ইসলামী খেলাফত ঘোষণা এবং স্বীকৃতির জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সিটিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ধর্ম সম্পর্কে তেমন কোনো জ্ঞান না থাকায় নতুন জনশক্তিরা ধর্মীয় এবং আদর্শিক বিষয়ে সন্ত্রাসী দলগুলোর প্রদত্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের যোগ্যতা রাখে না। বরং তারা ইসলাম সম্পর্কে ওইসব সংগঠনের সহিংস এবং আংশিক ব্যাখ্যাই মেনে নেয়।

গবেষকরা মনে করেন, পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দেয়া যোদ্ধারা ইসলামকে যথার্থভাবে না বুঝে নিজেদের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজতে গিয়ে এসব দলে যোগ দেয়।

সিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা রাজনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুসলিমদের বঞ্চনার কথা বলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাদের জনশক্তি নিয়োগ করতে সমর্থ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমিতে পরিচালিত ওই গবেষণাটি চলতি বছরের শুরুর দিকে ফাঁস হওয়া আইএসের জনশক্তি নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয়েছে।

এদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গিবিরোধী লড়াইয়ে মসজিদের ভূমিকাকে উৎসাহিত করছে। সন্ত্রাসী দলগুলোতে যারা যোগ দেয় তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা বেশিরভাগ সময়ই সাধারণ মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। তারা সরাসরি সন্ত্রাসী নিয়োগকারীদের দ্বারা নিযুক্ত না হয়ে অনলাইনে এবং বন্ধুদের দ্বারা উৎসাহিত হয়।

২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস-সহ আরো ২৫টি পশ্চিমা দেশ থেকে ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোতে যোগ দেয়া যোদ্ধাদের জীবন সম্পর্কে পর্যালোচনা করে নতুন এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সিটিসির গবেষকরা। 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!