• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদযাত্রায় সড়কেই প্রাণ গেল ২২৪ জনের


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম
ঈদযাত্রায় সড়কেই প্রাণ গেল ২২৪ জনের

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহায় যাতায়াতে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২৪ জন নিহত এতে ৮৬৬ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিতভাবে ২৪৪টি দুর্ঘটনায় ২৫৩ জন নিহত ও ৯০৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন ২০১৯ প্রকাশকালে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি বলেন, সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতিবছরের মতো এবারও এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি বিগত ২০১৬ সাল থেকে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাল, নৌ-পথে বেশকিছু নতুন লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া নতুন বগি সংযুক্ত হলেও এবারের ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য, যানজটের ভোগান্তি, রেলপথে সিডিউল বিপর্যয় ও টিকিট কালোবাজারি, ফেরি পারাপারে ভোগান্তিসহ নানা কারণে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা অমান্য, অদক্ষ চালক ও হেলপার দ্বারা যানবাহন চালানো, বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল, সড়ক মহাসড়কে ফুটপাথ না থাকা, ঈদফেরত যাতায়াতে মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকা বা মনিটরিং শিথিলতা, মোটরসাইকেলে দূরপথে ঈদযাত্রা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
 
এ ছাড়া মোজাম্মেল হক দুর্ঘটনারোধে বেশকিছু সুপারিশ পেশ করেছেন। এগুলো হলো- চালক প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স ইস্যু পদ্ধতি আধুনিকায়ন, যানবাহনের ফিটনেস দেওয়া পদ্ধতি আধুনিকায়ন, রাস্তায় ফুটপাথ-আন্ডারপাস-ওভারপাস নির্মাণ, জেব্রাক্রসিং অঙ্কন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও গবেষণা, ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রবর্তন সড়ক নিরাপত্তায় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা, চালক প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ, মহাসড়কে গতি নিরাপদ করা, ধীরগতি ও দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা, যানবাহনে যাত্রার আগে ত্রুটি পরীক্ষা, ঈদের আগের মতো ঈদের পরে মনিটরিং চালু রাখতে হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টা বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল ও কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
 
সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!