• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সম্ভবত আর নেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ২৫, ২০২০, ১০:০৫ এএম
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সম্ভবত আর নেই

ঢাকা : উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন সম্ভবত আর বেঁচে নেই। গত কয়েক মাস ধরেই তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। এ বার চাং সং-মিন নামে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক এক কূটনীতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিম বেঁচে আছেন বটে, তবে কোমায় চলে গিয়েছেন বেশ কিছু মাস হলো। বকলমে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী হিসেবে এখন সব কাজ সামলাচ্ছেন কিমেরই বোন, কিম ইয়ো জং। আবার রয় ক্যালে নামে এক সাংবাদিক দাবি করছেন, কিম মারাই গেছেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ায় সব কিছু এত গোপন রাখা হয় যে, দেশের লোকেরাও বাস্তবটা জানতে পারেন না।

কয়েক মাস আগেও কিম কোমায় চলে গিয়েছেন বলে খবর হওয়ার পরে দুনিয়া তোলপাড় হয়েছিল। তখন তড়িঘড়ি তার কিছু ছবি প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম। সেগুলো দেখিয়ে দাবি করা হয়, কিছুই হয়নি। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সি এই স্বৈরতন্ত্রীকে এপ্রিল মাসের পর থেকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

গত ১১ এপ্রিল একটি সরকারি অনুষ্ঠানে শেষ দেখা গিয়েছিল কিমকে। তার পর থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। মাসখানেক আগে খবর ছড়ায়, কিম কোমায় চলে গিয়েছেন। উত্তরসূরি হিসেবে সব কাজ সামলাচ্ছেন তার বোন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা কিমের বেশ কয়েকটি ‘ছবি’ও ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পিয়ংইয়্যাং তখন জানিয়েছিল, এই সব জল্পনা ভুয়া। কিমের একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল, তবে তিনি পুরোপুরি সুস্থ। এর কয়েক দিনের মাথায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কিমের ফিতে কাটার ছবি প্রকাশ করে সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম। এত জল্পনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দাবি করেছিলেন, তিনি মনে করেন কিম সুস্থ আছেন।

কিন্তু চাংয়ের দাবি, কোমাতেই রয়েছেন কিম। এত দিন কিমের সুস্থ থাকার প্রমাণ হিসেবে পিয়ংইয়্যাং যে সব ছবি প্রকাশ করেছে সে সবই জাল। দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দে জাংয়ের সাবেক সহকারী ছিলেন চাং। চীনের কিছু কর্মকর্তার কাছে কিমের কোমায় থাকার খবর সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাং। তার বক্তব্য, কিমের অবর্তমানে দেশ কী ভাবে চলবে, সেই সংক্রান্ত প্রশাসনিক সব দায়িত্ব এখনো ভাগ হয়নি। তাই আপাতত আন্তর্জাতিক বা দেশের সব অনুষ্ঠানেই তার বোনকে যেতে দেখা যাচ্ছে। পাল্টা কোনো বিবৃতি এখনো দেয়নি পিয়ংইয়্যাং। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!