• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরাঞ্চলে চলছে না বাস, দুর্ভোগ চরমে


রংপুর ব্যুরো আগস্ট ৪, ২০১৮, ০৪:০১ পিএম
উত্তরাঞ্চলে চলছে না বাস, দুর্ভোগ চরমে

রংপুর : নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদসহ নিরাপত্তার দাবিতে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে সারাদেশে। পরিবহন শ্রমিক-মালিকদের ডাকা এই ধর্মঘটে দেশের অন্যান্য জেলার মতো রংপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনও বাস চলাচল করছে না।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। শুক্রবার ভোর থেকে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সন্ধ্যার পর নৈশ্যকালীন বাস চলাচল করতে দেখা যায়। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকে ফের পরিবহন ধর্মঘটের কবলে পড়েছে যাত্রীরা।

রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্তঃজেলার ৪৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় রংপুরে সকাল দশটার পর থেকে কোনো বাস প্রবেশ করছে না। এমনিক বাইরেও যাচ্ছে না। অন্যদিকে কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ড থেকেও সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সকাল থেকে বাস চলাচল না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।   

এদিকে রংপুর থেকে কুড়িগ্রাম, বগুড়া, নাটোর, পবানা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস শিডিউল অনুযায়ী চলাচল করছে বলে জানা গেছে। তবে সব সময় বিআরটিসি বাস না থাকায় এবং বিআরটিসি বাস কম থাকায় দুর্ভোগ কাটছে না।

নিরাপত্তার অযুহাতে শ্রমিমদের এমন ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের অনেকেই ক্ষুদ্ধ। তাই জরুরী প্রয়োজনে বাইরে যেতে মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকসা নিচ্ছেন তারা। কেউ কেউ ছুটছেন রেল স্টেশনে। নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কথা হয় জাবেদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি এসেছিলেন দিনাজপুরের নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য। বাস বন্ধের খবর শুনে ক্ষুদ্ধ হন তিনি।

জাবেদ জানান, জরুরী কাজে দিনাজপুর সদরে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য সকালে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কাউন্টারে এসে শোনেন বাস বন্ধ। অবশেষে অটোকিসা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যেতে হচ্ছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে এমন ভুক্তভোগীদের দেখা মেলে। বাস বন্ধের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

পরিবহন ধর্মঘট প্রসঙ্গে রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, আমাদের কোমলমিত শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। তাদের দাবির প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। এসব দাবি ইতোমধ্যে সরকার মেনেও নিয়েছেন। তবুও শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে যায়নি।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে একটি উচ্ছৃঙ্খল গোষ্ঠী যোগ দিয়েছে। মূলত তারাই বাসে আগুন দিচ্ছে, ভাঙচুর চালাচ্ছে। সরকার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। আর শ্রমিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেই নিজেরাই বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে আমাদের কোন দিক নির্দেশনা নেই।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!