• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উদার ও বিনিয়োগবান্ধব হবে নতুন মুদ্রানীতি


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০২:৩০ পিএম
উদার ও বিনিয়োগবান্ধব হবে নতুন মুদ্রানীতি

ঢাকা : এবার মুদ্রানীতিতে বেসরকারিখাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে বিনিয়োগ বাড়ানোর দলিল হওয়া উচিত নতুন মুদ্রানীতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বলছে, এবারের মুদ্রানীতি হবে সম্প্রসারণশীল ও বিনিয়োগবান্ধব।

জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দুই অংকে নেয়া এবং চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাইলে ব্যবসাবান্ধব নীতি নিতেই হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

এ বিষয়ে ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি সবুর খান বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশের কিন্তু বিনিয়োগ করার সামর্থ আছে। ব্যবসায়ীরা যখন দেখবে তারা যে ঋণ নিচ্ছে সেখানে ঋণের যে স্প্রেড রেট সেখানে ফ্লেক্সিবিলিটি আছে। তখন কিন্তু সেখানে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বাড়বে।’

চলতি অর্থবছরের প্রথম মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যার বিপরীতে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮শ’ ৪১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিআইবিএম এর অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী বলেন, ‘আমরা যে ঋণ দিব সেটা শুধু বড় ব্যবসায়ীদের দিলে হবে না, মাঝারি এবং ছোটদেরও দিতে হবে। তাহলে দেখা যাবে গুনগত মান এত খারাপ হচ্ছে না।’

এবারে বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মুদ্রানীতি গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নতিকে সামনে রেখে আমাদের যে মেগা প্রজেক্টগুলো আছে সেগুলোর বিবেচনায় আমাদের নতুন মুদ্রানীতি দেয়া হবে।’

অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও মনে করেন, মুল্যস্ফীতি বাড়ার ঝুঁকি নিয়ে হলেও মুদ্রানীতি গ্রহণে উদার হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে খেলাপি ঋণ আদায় এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আলাদা দিকনিদের্শনার রাখারও পরামর্শ তাদের।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ জানান, ‘সরকারি ব্যাংকগুলো ঋণের সুদের হার নিয়ে নয় ছয় করলেও বেসরকারি ব্যাংকগুলো কিন্তু সেভাবে করেনি। আর ব্যাংকের যারা মালিক তাদের কিন্তু লাভ সবচেয়ে বেশি। একদিকে ব্যাংকে যেমন তারা ব্যবসা করছেন অন্যদিকে তাদের নিজেদের প্রয়োজনে সরকারি ব্যাংক থেকে যে ঋণ নিচ্ছেন সেগুলোও তারা কমসুদে নিচ্ছেন।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, বেসরকারি ব্যাংক পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে পুরো অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!