উন্নতির পথে বাংলাদেশের আর্চারি, নতুন বাজেট ঘোষণা

ঢাকা: সিটি গ্রুপের আর্থিক সহযোগীতায় ‘তীর গো ফর গোল্ড’ প্রজেক্টের আওতায় উন্নতির পথে রয়েছে বাংলাদেশের আর্চারি। প্রথম বছরে (২০১৭-১৮) আটটি মধ্যে পাঁচটি লক্ষ্য অত্যান্ত সফলতার সঙ্গে পূরণ করেছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। শনিবার (১১আগস্ট) দ্বিতীয় বছরের জন্য নতুন কর্মপরিকল্পা এবং বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।  

এদিন দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে ১ম বর্ষের (২০১৭-১৮) মূল্যায়ন ও দ্বিতীয় বছরের (২০১৮-১৯) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট ঘোষণা করা হয়।

এ সময় সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক শোয়েব মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রথম বছর আরচারি ফেডারেশনের প্রতি ৮টি টার্গেট ছিল তন্মধ্যে ৫টি টার্গেট পূরণ হয়েছে। ফেডারেশনের কাজের এই ধারাবাহিকতা এবং আরচারদের নৈপূণ্য বিবেচনা করে সিটি গ্রুপ এ বছর বিকেএসপি ও তীরন্দাজ সংসদের  ১০ আরচারকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করবে। সিটি গ্রুপ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট ঘোষণা করে।

খাতগুলো হলো: জাতীয় যুব আরচারি চ্যাম্পিয়নশীপ (নবেম্বর, ২০১৮, ৮ লাখ টাকা), জাতীয় আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ (ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০ লাখ টাকা), এশিয়া কাপ স্টেজ-১ ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং টুর্নামেন্ট (থাইল্যান্ড, জানুয়ারি, ২০১৯, ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা), আরচারি ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেজ-১, (চীন, মে, ২০১৯, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা), ওয়ার্ল্ড আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ (হল্যান্ড, জুন, ২০১৯, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা), কোচিং স্টাফসহ বিদেশী কোচের যাবতীয় ব্যয় বাবদ (১ কোটি ৮ লাখ টাকা), আরচারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংস্কার ও উন্নয়ন বাবদ (১ লাখ টাকা), জাতীয় আরচ্যারী দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের খাবার বাবদ (১ লাখ ৫০ হাজার টাকা), আরচারদের জন্য শিক্ষা খাত বাবদ (৫ লাখ টাকা), আরচারদের পারফরম্যান্স বোনাস বাবদ (১ লাখ টাকা), চাকুরিতে নিয়োজিত নেই এমন জাতীয় দলের আরচারদের জন্য ভাতা বাবদ (৬ লাখ টাকা)।

বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল  জানান, ‘আসন্ন এশিয়ান গেমসের আরচারিতে আমাদের লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। আর পরবর্তী এসএ গেমসে আমরা অধরা স্বর্ণপদক জিততে চাই।’

অলিম্পিকে যদি বাংলাদেশ কোনদিন পদক যেতে, তাহলে সেটা জিতবে আরচারি বা শূটিং থেকে এমনটাই অভিমত ক্রীড়ামোদীদের। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ ক্রীড়া দলকে পরিচয় করে দেয়া হয়েছিল ‘অলিম্পিকে কোন পদক না জেতা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’ বলে। এই অপমানের উপযুক্ত জবাব একমাত্র দিতে পারেন বাংলাদেশী আরচাররাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কর্মকর্তা, জাতীয় আরচারি দলের জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক, জাতীয় দলের ও সিটি গ্রুপের কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর সিটি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘তীর গো ফর গোল্ড’-এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ফেডারেশন ২০তম এশিয়ার আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৭ এবং তীর নবম জাতীয় আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৭’এর আয়োজন করে।

আরচার হিসেবে বিশ্ব আরচারিতে মার্টিনের আছে নজরকাড়া সাফল্য। গত ২০১৬ রিও অলিম্পিক আরচারির সেরা আট কোচের একজন ছিলেন। ২০২০ টোকিও অলিম্পিককে টার্গেট করে তীর গ্রুপের সঙ্গে ৫ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে ‘গো ফর গোল্ড’ চুক্তি করেছে ফেডারেশন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই