• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু-১

উৎসবমুখর কেপ ক্যানাভেরাল


নিউজ ডেস্ক মে ১০, ২০১৮, ১০:৫৬ পিএম
উৎসবমুখর কেপ ক্যানাভেরাল

ঢাকা : অপেক্ষার অবসান। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চপ্যাড থেকে বাংলাদেশ সময় রাত দুটার দিকে মহাকাশের পথে যাত্রা করবে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১। স্পেসএক্স-এর ওয়েবসাইটে দেখানো হবে এই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিশেষ এ মুহূর্তের সাক্ষী হতে অনেকেই তাকিয়ে আছেন টেলিভিশন কিংবা অনলাইন দুনিয়ায়। গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লোরিডায় উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার কথা। আর কেপ ক্যানাভেরালে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

এ ছাড়া স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখতে ইতোমধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। প্রতিনিধিদলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়াও আছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, বাস্তবায়ন নিরীক্ষা বিভাগের সচিব মফিজুল ইসলাম, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান, বিটিআরসির মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন, বিটিআরসির পরিচালক আশিস কুমার কুণ্ডুসহ আরো অনেকে। তাদের সঙ্গে আছেন দেশের অনেক সংবাদ প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য সংবাদকর্মীও।   

এ ছাড়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ উপলক্ষে বাংলাদেশিদের পদচারণে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি, কোকোয়া বিচ ও অরল্যান্ডো এলাকায়। ফ্লোরিডার পাশাপাশি নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়াসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে শত শত প্রবাসী অরল্যান্ডো যাচ্ছেন ইতিহাসের সাক্ষী হতে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ইতিহাসের সাক্ষী হতে চান। কারণ বাংলাদেশিদের কাছে এতদিন যা ছিল স্বপ্ন, এখন তা বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। আর সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

তবে সরাসরি যারা স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ দেখবেন তাদের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে কমপক্ষে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে থাকতে হবে বলে স্পেসএক্স এক নির্দেশনায় জানিয়েছে।  নিজস্ব স্যাটেলাইট কাজ শুরুর পর বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে পরনির্ভরতার অবসান হবে। টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু-১।

এ ছাড়া দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ভি-স্যাট সংস্থাগুলো প্রতিবছর বিদেশি স্যাটেলাইটের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সেই অর্থ দেশেই রাখবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!