• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
ডাকসু নির্বাচন

ঊর্ধ্বতন মহলে আলোচনায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০১:২৮ পিএম
ঊর্ধ্বতন মহলে আলোচনায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল

ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু দু’দিনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু মনোনয়ন ফরম তোলা হলেও নেয়নি শীর্ষ ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। নির্বাচনে প্যানেল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ছাত্রলীগ।

অন্যদিকে দাবি আদায়ে আন্দোলনের গতিপথ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভাবনায় রয়েছে ছাত্রদল। সার্বিক বিষয় চ‚ড়ান্ত করতেই দুই সংগঠনই ঊর্ধ্বতন মহলে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত বুধবার ডাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা আছে আগামী ১১ মার্চ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ এগিয়ে চলছে। হল প্রশাসনের উদ্যোগে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, প্রার্থিতার বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ায় সংগঠনের চার শীর্ষ নেতাই ডাকসুর ভিপি-জিএস পদে লড়তে চান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রচারণা। নির্বাচনী প্যানেল নিয়ে দুই দফায় আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। কিন্তু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

এছাড়া হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মতো নির্বাচনী প্যানেল চূড়ান্ত করবেন। তবে মনোনয়ন ফরম না নেওয়া পর্যন্ত এই সময়টাতে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি পালন করতে চায় সংগঠনটি।

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত হলে আমরা ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন ফরম তুলবো।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণের চেয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপির মাধ্যমে দেওয়া দাবি আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। নির্বাচন পেছানো, ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করা, নিরপেক্ষ শিক্ষকদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশিন গঠন ইস্যুতে ছাড় দিতে নারাজ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের জন্য শুধু মধুর ক্যান্টিন নয়, হলে হলে সহাবস্থান নিশ্চিত করে অবস্থান দৃঢ় করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভাবছে তারা।

বয়সসীমার কারণে সংগঠনটির শীর্ষ চার নেতাই প্রার্থী হতে না পারলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও প্যানেল নিয়ে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আমরা ইতিবাচক থাকতে চাই। তবে উপাচার্যের কাছে আমরা যে দাবি দিয়েছি তাতে তিনি আমাদের হতাশও করেননি, আবার আশ্বস্তও হতে পারছি না। প্রশাসন যদি আমাদের দাবি না মেনে তাদের অবস্থানে অনঢ় থাকে সেক্ষেত্রে আমাদেরও সিদ্ধান্ত আসবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!