• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণ জালিয়াতির ৫০ আসামি বিদেশে পলাতক রয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৫, ২০১৯, ০৫:০২ পিএম
ঋণ জালিয়াতির ৫০ আসামি বিদেশে পলাতক রয়েছে

ঢাকা : বেসিক ব্যাংক, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ আলোচিত বিভিন্ন দুর্নীতি মামলার প্রায় ৫০ আসামি বিদেশে পলাতক রয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা-চার্জশিট হলেও আইনের আওতায় আনতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এ ঘটনায় ২০১৫ সালে ৫৬টি মামলা করে দুদক। আসামি করা হয় ১২০ জনকে। সব মামলায় আসামি করা হয় ব্যাংকটির তখনকার এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে। এছাড়া কয়েকটি মামলায় আসামি হন ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মোনায়েম খান এবং জিএম মোহাম্মদ আলী। মামলা হওয়ার আগেই বিদেশে চলে যান এই তিন আসামি।

হলমার্ক গ্রুপকে জালিয়াতির মাধ্যমে দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ূন কবিরের নামে ২০১২ সালের অক্টোবরে ৩৫টি মামলা করে দুদক। তবে তার আগেই দেশ ছাড়েন তিনি।

ভ‚য়া নথির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ৩৪২ কোটি টাকা হাতিয়ে দেশ ছেড়েছেন টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক তসলিম হাসান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুদকের ১৪টি মামলা।

সোনালী ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্যারাগন গ্রæপের মালিক সাইফুল ইসলাম রাজার বিরুদ্ধে। মামলা হওয়ার আগে তিনিও পালিয়েছেন।

ভুয়া কাগজ দিয়ে বিসমিল্লাহ গ্রুপ জনতা ব্যাংকসহ চারটি ব্যাংক থেকে ১২শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ায় দায়ে ১২টি মামলা করে দুদক। সব মামলায় আসামি করা হয় ব্যাংকটির এমডি খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীকে। এছাড়া, পরিচালক নওরীন হাসিব, শফিকুল আনোয়ার চৌধুরীসহ মামলার নয় আসামি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন।

টিআইবি মনে করছে পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক  ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদক কেন এখনও পর্যন্ত এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না, এই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। আমি মনে করি এসব পলাতক আসামীদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, যদি দুদক কঠোরভাবে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়।’

বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। তিনি বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে অনেক আসামী গা ডাকা দিয়ে রয়েছে। আমরা ওইসব দেশের সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মামলার প্রয়োজনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনবো। ছাড় দেয়ার মত কোন অবস্থানে আমরা নেই।’

দুর্নীতি মামলার আসামিরা যাতে বিদেশে পাড়ি না দিতে পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছে দুদক।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!