• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণখেলাপিদের ঠেকাতে ব্যাংকগুলোর তৎপরতা


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৯, ২০১৮, ১২:০৪ পিএম
ঋণখেলাপিদের ঠেকাতে ব্যাংকগুলোর তৎপরতা

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল বুধবার (২৮ নভেম্বর)। এদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত সারা দেশে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা ভিড় করেন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে সারা দিন সরগরম ছিল রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় এলাকা।

আর ভোটে ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন দাখিলকারীদের তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মোতাবেক আগামী ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে, ওই দিনের মধ্যে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে শাখাভিত্তিক ও কেন্দ্রীয়ভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঋণসংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।

জানা গেছে, প্রার্থীদের এলাকাভিত্তিক ঋণের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে শাখা পর্যায়ে। যেমন ধরা যাক ঢাকা-১২ আসন। এখানে যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে তারা এই আসনের প্রার্থীদের ঋণের তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের তালিকা শাখা থেকে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় নির্বাচন কমিশন থেকেও সারা দেশের মনোনয়ন দাখিলকারীদের তালিকা সংগ্রহ করবে। তালিকা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ওই ব্যাংকের কোনো শাখায় ঋণ রয়েছে কি না, সেটি দেখা হবে।

ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কাজের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গঠিত টিম কাজ করবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তথ্য দিতে। আগামীকাল শুক্র ও পরদিন শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে কোনো ঋণখেলাপি প্রার্থী হতে না পারেন সেটি নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর (গতকাল)। মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে স্ব-উদ্যোগে রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসারকে সরবরাহ করার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে ঋণখেলাপি ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য নন বিধায় তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। এতদ প্রেক্ষিতে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ব্যক্তিদের ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা আবশ্যক।

জানতে চাইলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজটি খুবই কঠিন। তবে আমরা ব্যাংকাররা রাষ্ট্রীয় এই দায়িত্ব শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে পালনে কাজ শুরু করেছি।

জানা গেছে, চাঁদপুর-৪ আসনে ক্ষমতাসীনদের হয়ে প্রথম পর্যায়ে মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ড. শামসুল আলম ভুঁইয়া। কিন্তু ফারমার্স ব্যাংকে তার ৬০ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে গত মঙ্গলবার তাকে সরিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানকে নতুন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!