• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
অবৈধভাবে সহযোগী কোম্পানিকে ঋণ

ঋণের তথ্য চেয়ে তালিকাভুক্ত ৩০০ কোম্পানিকে বিএসইসির চিঠি


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৮, ২০২০, ০১:২৬ পিএম
ঋণের তথ্য চেয়ে তালিকাভুক্ত ৩০০ কোম্পানিকে বিএসইসির চিঠি

ঢাকা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি নিয়ম লঙ্ঘন করে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানকে মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আসছে। সহযোগী কোম্পানিকে দেওয়া এমন সব ঋণের তথ্য চেয়ে তালিকাভুক্ত ৩০০ কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি ঋণ ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্কমর্তারা জানান, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অর্ধশতাধিক কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন ছাড়া সংশ্নিষ্ট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

অথচ কোম্পানিটি নিজে ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে বছরপ্রতি শত শত কোটি টাকা সুদ গুনছে। আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের মালিকানাধীন অন্য কোম্পানিকে ঋণ দিয়েছে বিনা সুদে বা নামমাত্র সুদে। এতে সংশ্নিষ্ট উদ্যোক্তা-পরিচালকরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূল কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডাররা।

বিএসইসি ২০০৬ সালের ২৬ নভেম্বর এক আদেশে তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। এতে বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি তার কোনো পরিচালকের অন্য কোনো কোম্পানিকে কোনো প্রকার ঋণ বা ঋণের বিপরীতে জামানত দিতে পারবে না। তবে কোম্পানির পর্ষদ ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করলে এবং এজিএম বা এজিএমে শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করলে পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ দেওয়া যাবে।

গত ২৩ জুন বিএসইসির কমিশন সভায় এমআই সিমেন্টের পাঁচ উদ্যোক্তা-পরিচালককে ১০ লাখ টাকা করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে বিনা সুদে ৭০ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিল কোম্পানিটি।

এরপর গত ২৯ জুলাই একই কারণে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের আইপিও আবেদন নাকচ করা হয়। কোম্পানিটি আইপিওর বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় ৭৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করার কথা ছিল।

কমিশন পরীক্ষা করে দেখেছে, কোম্পানিটি তার সহযোগী কোম্পানিকে এর থেকে বেশি পরিমাণ ঋণ দিয়ে রেখেছে। ওই ঋণ ফেরত নিলে আর আইপিও প্রক্রিয়ায় মূলধন সংগ্রহ করতে হয় না।

সোনালীনিউজ/এলএ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!