• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পারবো


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৭, ২০২০, ০২:৫৩ পিএম
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পারবো

ঢাকা : করোনা মহামারি মধ্যে ঢাকাবাসী যাতে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত না হন সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘এ বছর ইনশাআল্লাহ আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পারবো। এজন্য আমরা আমাদের মশকনিধনের গতানুগতিক কার্যক্রমকে ঢেলে সাজিয়েছি।’ 

রবিবার (৭ জুন) সকালে নবাবগঞ্জ পার্কে বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘আমাদের ইশতেহার অনুযায়ী যে পাঁচটি রূপরেখা দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমি নির্বাচনের সময় বলেছিলাম, মশক নিধন সামান্য সময়ের কোনও কার্যক্রম না, এটি বছরব্যাপী কার্যক্রম। আজ স্বল্প সময়ের মধ্যেই মশকনিধনের এই ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। গতানুগতিক আমাদের মশকনিধনের যে কার্যক্রম সেটাকে ঢেলে সাজিয়েছি। সেই পরিকল্পনা আজ থেকে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’  

মশকনিধন তৎপরতা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আগে গতানুগতিকভাবে সকাল ৮টার সময় মশা নিধনের জন্য লার্ভিসাইডিং করা হতো। এখন থেকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা লার্ভিসাইডিং করা হবে। অপরদিকে মাগরিবের সময় শুধু একঘণ্টা ফগার মেশিনে ধুয়া দিয়ে মশকনিধন করা হতো। এখন থেকে দুপুর আড়াইটায় থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চার ঘণ্টা মশকনিধন কার্যক্রম চলবে। এছাড়া জলাশয়, নর্দমা পরিষ্কার করা, মাছ চাষের মাধ্যমে মশার লার্ভা নিধন করা, হাঁসচাষ করে জলাশয়গুলোকে সচল রাখাসহ কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজিয়েছি। এভাবে যদি আমরা কাজ বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাগী বছর থেকে মশার প্রজনন  ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। আমরা সফল হবো।’

তাপস বলেন, ‘আমরা মহামারি করোনার মাঝে আমাদের ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার প্রকোপে আক্রান্ত করতে চাই না। করোনাভাইরাসসহ অন্য কোনও সংক্রামক ব্যাধিতে যাতে ঢাকাবাসী আক্রান্ত না হয়, তারা যেন সঠিক স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসা পায় সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্যসেবাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। ডিএসসিসির আওতায় যেসব স্বাস্থ্যসেবা বিদ্যমান আছে সেটার অবস্থা একদম নাজুম এবং ভঙ্গুর। আমরা সেটিকে ঢেলে সাজানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। যদিও তা বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা এটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই মহামারির মধ্যেও মশকনিধন কার্যক্রমকে বেগবান করেছি।’

মেয়র আরও বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যাতে কোনও বর্জ্য পড়ে না থাকে সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। অচিরেই আপনারা এর বাস্তবায়ন দেখতে পারবেন। এছাড়া রাস্তাঘাট উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করবো।’

মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কোথাও মশকের লার্ভা বা তার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে আপনারা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাবেন। এর পরেও যদি সুরাহ না হয় তাহলে আমাকে জানাবেন। আমি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সার্বক্ষণিক আপনাদের জন্য নিয়োজিত আছি। দিনের ২৪ ঘণ্টাও যদি কাজ করতে হয়, আমি আপনাদের জন্য আছি। আমি কাজ করে যাবো। আমাদের লক্ষ্যপূরণ ছাড়া ঘরে ফিরবো না।’

ডেঙ্গু চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘সব হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এর পরেও যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!