• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ মাসেই লন্ডনে হাসিনা-মোদির বৈঠক!


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ১, ২০১৮, ০২:০৫ পিএম
এ মাসেই লন্ডনে হাসিনা-মোদির বৈঠক!

ফাইল ছবি

ঢাকা: এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ওই সময় চোগাম (কমনওয়েলথ হেড অব গভর্নমেন্ট মিটিং)-এ যোগ দিতে ব্রিটেনে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সেখানে নরন্দ্রে মোদিরও যাওয়ার কথা আছে। 

তবে ওই বৈঠকে বাংলাদেশে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোনো পাকা কথা দিচ্ছেন না নরেদ্র মোদি বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর দিয়ে কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে।

তাদের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের ওই সম্মেলনের ফাঁকে মোদি-হাসিনার মধ্যে একটি বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়েও কথা হবে।

মাত্র বছর খানিকের আগেই মোদি-হাসিনার বৈঠক হয়েছে। এর মধ্যে কোনো তৃতীয় দেশের সঙ্গে দুই দেশই দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসেনি। তার মধ্যে দু’টি দেশেই নির্বাচন কড়া নাড়ছে। লন্ডনের বৈঠকটি সম্ভব হলে, কূটনৈতিক শিবিরের হিসাব মতো বর্তমান সরকারের আমলে এটাই দু’দেশের শেষ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হবে। ফলে এই বৈঠকের গুরুত্ব গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই যথেষ্ট। 

সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বিমস্টেক-এর নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা এসেছিলেন। এরপর আসবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিজয় গোখলে। 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের আরো বেশি আস্থা অর্জন করাটাকে এখন অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সাংস্কৃতিক দৌত্যের মাধ্যমে ‘ট্র্যাক টু’ কূটনীতির দিকেও জোর দেয়া হচ্ছে। ১০ এপ্রিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরি এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন।

আনন্দবাজার বলছে, লন্ডনে বৈঠক হলে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে ওই বৈঠকে তিস্তা নিয়ে চুড়ান্ত কোনো কথা দিবেন না মোদি। 

সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিস্তা ছাড়াও আরো অনেকগুলি দিক রয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত পাশে রয়েছে। যে কাজগুলি ইতিমধ্যেই চলছে তার পাশাপাশি, নতুন কোন ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা বলবেন মোদী-হাসিনা। কথা হবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও।

সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আগামি দিনগুলিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করে ভারত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নির্বাচনের মুখে প্রতিহিংসার ঘটনা বাড়লে তার প্রভাব সীমান্তে পড়তে পারে— এই উদ্বেগও রয়েছে নয়াদিল্লির। নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো জোড়দার করা নিয়ে কথা চলছে দু’দেশের।

তবে তিস্তা নিয়ে আশু নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের আগ্রহের কথা জানাবে মোদি। রাখাইন প্রদেশকে আর্থ সামাজিক ভাবে ঢেলে সাজার জন্য কী পদক্ষেপ করলে সুবিধা হয়, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের কাছে জানতে চেয়েছে ভারত।

গত বছরের শেষে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলা রাখাইনের উন্নয়নের জন্য একটি চুক্তিপত্রে সই করেছে ভারত। সেখানে প্রস্তাবিত আবাসন তৈরির প্রকল্পগুলি শুরু করে দিতে সক্রিয় হচ্ছে মোদি সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট রসদ রাখাইন প্রদেশে রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!