• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এই দিন দিন না, সামনে আরো দিন আছে : রিজভী


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০, ০৫:০১ পিএম
এই দিন দিন না, সামনে আরো দিন আছে : রিজভী

ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা আওয়ামী নাৎসীবাদের এক চরম চক্রান্তের বিকৃত প্রকাশ লক্ষ্য করছি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণঃপ্রতিষ্ঠাকারী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে নিয়ে বহুমাত্রিক কাল্পনিক, উদ্ভট আর বিকৃত মিথ্যাচার করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি বরং এখন তাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা কুৎসিত মনোবৃত্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্ববর) রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, কোনো অপপ্রচারই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। এখন একদলীয় ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার তাদের খুদ কুড়ো অন্বেষী, মোসাহেব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের দিয়ে নাটক-সিনেমা বানাতে উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের লেলিয়ে দেয়া এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে মহাউৎসাহে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে জঘন্যতম বিকৃত ইতিহাস, চরিত্রহনন ও কুৎসার গরল উগলে দিতে এই ধরণের কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কতিপয় পদলেহী অর্বাচীন অসুস্থ লোক ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টায় নিরন্তর কাজ করছে। মান্নান হীরা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেকনজর পাওয়ার জন্য ‘ইনডেমনিটি’ নামে তথাকথিত একটি বিকৃত ইতিহাসের চটি নাটক লিখে জয় বাংলা ব্যানারে বা তাদের সাংস্কৃতিক জোটের নামে গত এক বছর যাবত সারাদেশে মঞ্চায়ন করে বেড়াচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, তারা নতুন প্রজন্মের সামনে সম্পূর্ণ মিথ্যা এক বিকৃত ইতিহাস দাঁড় করানোর হীন প্রচেষ্টা তুলে ধরেছে এই নাটকের কল্পিত গল্পে। পাশাপাশি দেখানো হয়েছে, জিয়াউর রহমানের নির্দেশে নাকি ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোশতাক ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। এই নাটকে খুনী ও খল চরিত্র এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে।

এই নাটক নির্মাতাদের কতো বড় স্পর্ধা যে, এদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অসত্য ইতিহাস রচনা করে তা নাটক আকারে বিকৃতভাবে মঞ্চস্থ করেছে। এই কথিত পথ নাটকটি ২৬ সেপ্টেম্বর নিশিরাতের এক সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন টিভিতে প্রচার করা হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা তাদের সাবধান করে দিতে চাই এই ইতিহাস বিকৃতি ও তথ্যসন্ত্রাসমুলক নাটক প্রচারের অপচেষ্টা চালিয়ে গণশত্রু হবেন না। এই নাটকের রচয়িতা, পরিচালক, নির্দেশক, অভিনেতা-কলাকুশলীদের জনগণ মনে রাখবে। এই অর্বাচীনরা হলো গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করা ফড়িয়া ও দালালদের সহযোগী।

এরা হলো বর্তমান নিষ্ঠুর নাৎসী আওয়ামী লীগের সহযোগী যাদের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে ধারণ করার সাহস ও শক্তি নেই। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠিত এই ষড়যন্ত্রকে জনগণ শুধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখানই করছে না, স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গনের বীর সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও তার চরিত্র হননের অপপ্রয়াসের জন্য আপামর জনগণ দারুনভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা মানেই রণাঙ্গনের সকল মুক্তিযোদ্ধাকেই অপমান করা।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই দিন দিন না সামনে আরো দিন আছে। দেশের জনগণই এর উপযুক্ত জবাব দিবে। বিকারগ্রস্ত মানসিকতার এই ‘ইনডেমনিটি’র নামে চরিত্রহননকারী নাটকের নির্মাতাদের এহেন কর্মকাণ্ডে আমি তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এটির সাথে যারা জড়িত কিংবা প্রচার করবেন জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।

তিনি বলেন, নাটকের সাথে জড়িত ও নেপথ্যের কুশীলবদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রধান নির্বাচন কমিশনের স্বীকার করা মধ্যরাতের নির্বাচনে ক্ষমতায় চেপে বসা এই সরকার কখনোই সুষ্ঠু রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না।

রিজভী বলেন, এই সরকার সীমাহীন লুটতরাজ, খুন-গুম, ক্রসফায়ারসহ নৈরাজ্য আর ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দ্বারা দেশকে নরকে পরিণত করেছে সাড়ে বারো বছর। এসব নিয়ে আপনারা নীরব কেন ? এসব নিয়ে আপনাদের নাটক কোথায় ? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে জড়িত সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের বা তাদেরই বশংবদ। সেখানে শহীদ জিয়াউর রহমানের দূরতম কোন ভূমিকাও ছিল না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!