• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এই মুহূর্তে আমার সব মনোযোগ ক্যারিয়ারে


বিনোদন ডেস্ক অক্টোবর ২৭, ২০১৯, ০৬:২০ পিএম
এই মুহূর্তে আমার সব মনোযোগ ক্যারিয়ারে

ঢাকা : কৃতি শ্যাননকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল অভিষেক বর্মণ পরিচালিত কলঙ্ক ছবিতে। মুক্তি পেয়েছে বলিউডের বহুল আলোচিত ‘হাউসফুল ফোর’ ছবিটি। এটি মুক্তি পাচ্ছে নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেইনমেন্ট এবং ফক্স স্টার স্টুডিওসের ব্যানারে। এ ছবিতে অভিনয় করে আবার আলোচনায় বলিউডের হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন।

‘রাবতা’, ‘দিলওয়ালে’, ‘বারেলি কি বরফি’ সিনেমাগুলোতে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। সম্প্রতি অভিনয় করলেন ‘লুকা ছুপ্পি’ ছবিতে। ছবি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে নিজের বিয়ে নিয়েও জানালেন এই অভিনেত্রী। তার কথা, যাকে তিনি বিয়ে করতে চান, আগে তাকে ভালোবাসবেন, এরপর বিয়ে।

নতুন ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে কৃতি শ্যানন বলেন, ‘আমাকে সবাই গ্ল্যামারাস চরিত্রের জন্যই শুধু ভাবতেন। এখন আমার সম্পর্কে অনেকের ধারণা বদলেছে। আমার প্রতি নির্মাতাদের আস্থা বেড়েছে। বারেলি কি বরফি ছবিটা আমার ক্যারিয়ারের মাইলফলক। এখন আমি অধিকাংশ ভালো কনটেন্টের সিনেমার প্রস্তাব পাচ্ছি। হাউসফুল ফোর সে রকমই একটি ছবি।’

এই সিনেমার পছন্দের জায়গাগুলো নিয়েও তিনি কথা বলেন। কৃতি জানান, এই ছবির চিত্রনাট্য শোনার সময় তিনি প্রচুর হেসেছেন। ছবির গল্পও তার কাছে দারুণ লেগেছে।

বলিউড তারকা কৃতি শ্যানন নিজেই একটা গল্পের নাম। যে গল্পে অন্যদের তুলনায় খুব সহজেই ধরা দিয়েছে সফলতা। এই ‘দিল্লি গার্ল’ একদিন হঠাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে হাঁটা শুরু করেছিলেন বলিউডের রাস্তায়। তার প্রথম ছবি ‘হিরোপান্তি’ তাকে এনে দিয়েছিল ফিল্মফেয়ারের সেরা নবাগতর পুরস্কার। ‘দিলওয়ালে’, ‘বারেলি কি বরফি’ ও ‘লুকাছুপ্পি’ দিয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডে। চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকদের পছন্দের তালিকার প্রথম দিকে উঠে এসেছে কৃতি শ্যাননের নাম। তাকে দেখা যাবে আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘পানিপথ’ এবং সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার ‘হাউসফুল ফোর’ ছবিতে। তাছাড়া নারীকেন্দ্রিক একটা ছবিতেও দেখা যাবে তাকে। ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বললেন তার চলচ্চিত্র, প্রেম, বিচ্ছেদ, ব্যক্তিগত জীবন এবং বলিউডে তার নিজের অবস্থান বিষয়ে।

‘পানিপথ’ ছবিতে মারাঠি নারীর চরিত্র চ্যালেঞ্জিং বলে জানান কৃতি। তিনি বলেন, ‘আশু স্যার (আশুতোষ গোয়ারিকর) একজন জাদুকরের নাম। তার সেটে কখনো বোঝা যায় না যে আমি একটা ভিন্ন পৃথিবী থেকে এসেছি। টেরই পাওয়া যায় না যে চরিত্রটা করছি, তা আমি নই। আমি কখনোই তাকে রাগতে বা উঁচু গলায় কথা বলতে দেখিনি। তিনি একজন পারফেকশনিস্ট এবং সব ডিটেইলসের ওপর নজর রাখেন। তিনি সবার কথা মন দিয়ে শোনেন। সবার কাছ থেকে পরামর্শ নেন। এখানে আমার চরিত্রের নাম পার্বতী বাই, মারাঠার সেনাপ্রধান সদাশিবরাও বহুর দ্বিতীয় স্ত্রী। আশু স্যারের সেটের নারীরা বরাবরই স্বাধীন, সাহসী আর শক্তিশালী।’

অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘হাউসফুল ফোর’ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে এ তারকা বলেন, ‘চমৎকার। অক্ষয় স্যারের সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, তিনি একেবারে নিরহংকারী একজন মানুষ। আর মোটেও সিনিয়রসুলভ আচরণ করেন না। তিনি ক্লান্তিহীন শিশুর মতো, যিনি অসীম এনার্জি নিয়ে বিরতিহীন কাজ করে যেতে পারেন। তাকে যদি খাওয়ার জন্য একটা কমলা দেওয়া হয়, তিনি সেটা নিয়ে ‘ক্যাচ ক্যাচ’ খেলা শুরু করে দেন। তাকে সারা দিনের পরিকল্পনা লেখা কাগজ দেওয়া হলো, তিনি তার ওপর দিব্যি কাটাগোল্লা খেলবেন। সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেন তিনি। এত ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেওয়ার পরও প্রতিটি সিনে তিনি নতুন কিছু যোগ করার চেষ্টা করেন। তার ‘সেন্স অব হিউমার’ অসাধারণ। ‘হাউসফুল ফোর’ ছবির শুটিংয়ের দিনগুলো এমন ছিল, যেন ছুটির দিনে বেড়াতে এসেছি।

পাঁচ বছরে অনেকটাই বদলেছেন কৃতি। হয়েছেন আরো পরিণত। প্রেমে পড়তে খুবই ভালোবাসেন। কৃতি বলেন, আমি ভালোবাসার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছি না। আমি ব্যস্ত এবং সুখী। এই মুহূর্তে আমার সব মনোযোগ ক্যারিয়ারে। হ্যাঁ, আমি প্রেমেও পড়তে চাই। তবে এবার ঠিক মানুষটার সঙ্গে।’

কখন বিয়ে করবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে কৃতি বলেন, ‘আমি এখনই তা বলতে পারব না। তবে আমার মা-বাবা আমাকে সব ধরনের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাই আমার পছন্দকে তারা নিশ্চয় মেনে নেবেন। তবে আমি আমার মা-বাবাকে বলে দিয়েছি যে, আমি দেখাশোনা করে বিয়ে করব না। আর যাকে বিয়ে করব, আগে তাকে ভালোবাসব।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!