• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক কেজি পেঁয়াজে লাভ ১৬৩ টাকা!


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৬:৫১ পিএম
এক কেজি পেঁয়াজে লাভ ১৬৩ টাকা!

ঢাকা: পেঁয়াজের ট্রিপল সেঞ্চুরিতে কপাল খুলেছে আড়তদার ও মজুতদারদের। মোকাম থেকে পেঁয়াজ কেনা কেজি ১৩৭ টাকা। বিক্রি করছে প্রায় ৩০০ টাকা দরে। পাইকারিতেই কেজিতে লাভ ৮৩ টাকা। পেঁয়াজ নয় যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের আড়ত পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে অভিযানেই এর প্রমাণ মিললো। 

অভিযান চলাকালে মেসার্স রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়ে পেঁয়াজের ক্রয় রসিদ দেখতে চাওয়া হয়। রসিদে ক্রয় মূল্য লেখা ১৩৭ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করছে ২৮০ টাকা। অর্থাৎ পাইকারিতে কেজিতে লাভ করছে ১৪৩ টাকা, যা দেখে অবাক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম।

অভিযান পরিচালনাকারী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার গণমাধ্যমে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্রয় রসিদের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ নভেম্বর ১৩৭ টাকা কেজি এবং ১৪ নভেম্বর ১৫৫ টাকা কেজি মূল্যে ক্রয় করে স্টক করেছে, যা সেই পেঁয়াজ আজ বিক্রয় করছেন কেজি ২৮০ টাকা। ১৩৭ টাকায় কেনা পেঁয়াজের ক্রয় মূল্যের সঙ্গে খরচ পরিবহন ভাড়া যোগ করলে সর্বোচ্চ মূল্য ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা হবে। 

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এত উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। এটা কীভাবে সম্ভব? অর্থাৎ ক্রাইসিস তৈরি করে তারা অনৈতিকভাবে দাম বাড়িয়েছে যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ হতে পারে না। এরা মজুত করে পেঁয়াজের মূল্য বাড়াচ্ছে। আসলে তারা জনগণকে জিম্মি করে বাড়তি মূল্য আদায় করছে। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়ের বিক্রেতা জুলহাস মীর জানান, আগের রসিদ দেখে জরিমানা করা হয়েছে। আগে কম কেনা হলেও আজ কিনতে হয়েছে ২১০ টাকা দরে। পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ নেই উল্টো লস হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় দাম বেশি নিচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠান দাম লিখে রেখেছে ২১০ টাকা কিন্তু বিক্রি করছে ২২৫ ও ২৩০ টাকায়। তাদের পেঁয়াজ কেনা ১৮০ টাকা। তার মানে অনিয়মের কারণে বেশি দাম বাড়ছে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!