• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক-চতুর্থাংশ শিক্ষক সন্তুষ্ট


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৩:২৯ পিএম
এক-চতুর্থাংশ শিক্ষক সন্তুষ্ট

ঢাকা: পেশা, প্রতিষ্ঠান ও সম্মানী—এই তিন ক্ষেত্রেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মাত্র ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক। 

পেশা ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে সন্তুষ্ট কিন্তু সম্মানী নিয়ে সন্তুষ্ট নন, এমন শিক্ষক ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ। আর পেশা নিয়ে সন্তুষ্ট কিন্তু প্রতিষ্ঠান বা সম্মানী নিয়ে সন্তুষ্ট নন ১৬ শতাংশ শিক্ষক।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০১৮-২০১৯’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর এলজিইডি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের মাঠপর্যায়ের ৬০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন এডুকেশন ওয়াচের মুখ্য গবেষক সমীর রঞ্জন নাথ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেশা, প্রতিষ্ঠান ও সম্মানী—তিনটি ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা, প্রায় ৫৫ শতাংশ। স্কুল ও কলেজে এমন শিক্ষক আছেন ৩০ দশমিক ২ শতাংশ, উচ্চতর মাদ্রাসায় ২৭ শতাংশ, বেসরকারি বিদ্যালয়ে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং দাখিল মাদ্রাসায় আছেন ২১ শতাংশ। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক তাদের বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৫ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষক পেশা পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয় সবচেয়ে বেশি। তাদের আয় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত (এমপিওভুক্ত) শিক্ষকদের আয়ের প্রায় দ্বিগুণ (১ দশমিক ৯ গুণ), আর সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত নন এমন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আয়ের ৩ দশমিক ৮ গুণ বেশি।

গত এক বছরের সম্ভাব্য সব উৎস থেকে আয় ও ব্যয় বিশ্লেষণ করে ৫ শতাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন, তারা সব সময়ই অভাবে ছিলেন। ২০ দশমিক শতাংশ শিক্ষক বলেছেন, তারা মাঝেমধ্যে অভাবে পড়েছেন। ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষক খেয়ে-পরে সমান ছিলেন। আর সব খরচ মিটিয়ে কিছু টাকা উদ্বৃত্ত থাকে ৪০ শতাংশ শিক্ষকের।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুর হাসান চৌধুরী, গণসাক্ষরতা অভিযানের চেয়ারপারসন রাশেদা কে. চৌধূরী, সংস্থাটির উপপরিচালক কে এম এনামুল হক প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!