• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

একটি পুকুর ও সুলতানার স্বপ্নভঙ্গ


মহিউদ্দিন খান মোহন মার্চ ২১, ২০২০, ০৩:৪৮ পিএম
একটি পুকুর ও সুলতানার স্বপ্নভঙ্গ

ঢাকা : নিজেকে অমর করে রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সরকারি একটি পুকুরের নাম নিজের নামে করে বিখ্যাত হতে চেয়েছিলেন। নামটি রেখেছিলেন আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রাজধানীর ধানমন্ডির ‘রবীন্দ্রসরোবর’-এর অনুকরণে- ‘সুলতানাসরোবর’। কিন্তু তাতে বাদ সাধল স্থানীয় এক সাংবাদিক। পত্রিকায় দিল নিউজ করে। তাকে শায়েস্তা করতে গিয়েই পাকিয়ে গেল জট। আর তাতে তার অমর হবার স্বপ্ন তো ধূলিসাৎ হলোই, এখন চাকরি নিয়েই পড়েছে টানাটানি! ক্ষমতার অপব্যবহার যে কখনোই ভালো ফল বয়ে আনে না, এ ঘটনা তা আবারো প্রমাণ করল।

পাঠক, বোধকরি বুঝতে পেরেছেন, সম্প্রতি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি ও নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড়তোলা কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনের কথাই বলছি। নিজ নামে একটি সরকারি পুকুরের নামকরণ এবং তা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। খবরটি এখনো এত তরতাজা যে, তার বিস্তারিত উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন। ঘটনাটি এই প্রশ্নটিকেও বড় করে তুলেছে যে, সরকারি প্রশাসনের কর্তা-কর্ত্রীরা নিজেদের ধরাছোঁয়ার ঊর্ধ্বে মনে করতে শুরু করলেন কেন? শুধু তা-ই নয়, তারা নিজেদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী না ভেবে রাজাধিরাজ মনে করতে শুরু করেছেন। আর তাদের দৃষ্টিতে জনসাধারণ অর্থাৎ প্রজাতন্ত্রের যারা মালিক, তারা সবাই যেন প্রজাসম! তবে, সরকারি কর্মকর্তাদের সবাইকে এই শ্রেণিতে ফেলা বোধকরি ঠিক হবে না। তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা প্রকৃতই প্রজাতন্ত্রের সেবক এবং জনবান্ধব।

কুড়িগ্রামের ঘটনায় এটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে, জেলা প্রশাসক পদবিধারী একজন কর্মকর্তা নিজেকে কতটা শক্তিধর ভাবতেন! তিনি নিজের নামে সরকারি মালিকানাধীন একটি পুকুরের নাম রেখেছিলেন। কিন্তু কেন? বোঝা যায়, তিনি নিজেকে বিখ্যাত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এমন আকাঙ্ক্ষা মানুষের থাকতেই পারে। তবে, তা বাস্তবায়নের জন্য অন্য পথ রয়েছে। ডিসি সুলতানা পারভীন যদি পুকরের সঙ্গে নিজের নাম না জড়িয়ে কোনো জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেন তাহলে তাতে কারো আপত্তি থাকত বলে মনে হয় না। কিন্তু তিনি করেছেন সম্পূর্ণ বেআইনি একটি কাজ। আর সেটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারী প্রবিধানমালা অনুমোদন করে কি না, সেটাও ভেবে দেখেননি। বরং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টিকারী সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে শায়েস্তা করার চিন্তায় বিভোর হয়ে ওঠেন। ক্রোধান্বিত সুলতানা মওকা খুঁজতে থাকেন রিগানকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার। প্রতিহিংসাচরিতার্থ করতে তাই রাতের অন্ধকারে প্রেরণ করেন তার গেস্টাপো বাহিনী। আরডিসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে চল্লিশজনের এক বিশাল বাহিনী ঘরের দরজা ভেঙে তুলে আনে সাংবাদিক রিগানকে। শুধু তা-ই নয়, আরডিসি নাজিম তার শক্তিমত্তার জানান দেওয়ার জন্য সবার আগে রিগানের মাথা-মুখে মুষ্ঠাঘাত করেন। পরে তার অনুগামী বাহিনীর সদস্যরাও হাত চালায়। প্রহারে প্রহারে রিগানের শরীর জর্জরিত হয়। এখানেই শেষ নয়, ডিসির প্রতিহিংসার আগুন তখনো দাউ দাউ করে জ্বলছিল। তারা রিগানকে চোখ বেঁধে তুলে এনে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে, হুমকি দেয় এনকাউন্টারে দেওয়ার। তারপর রহস্যজনকভাবে ‘উদ্ধার’ করা হয় আধা বোতল বাংলা মদ ও সামান্য পরিমাণ গাঁজা। আর তা রাখার অপরাধে(!) কথিত ‘ভ্রাম্যমাণ’ আদালতে বিচার করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দিয়ে দেয়। তারপরের ঘটনা সবারই জানা। এই নৃশংসতার খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুড়িগ্রামসহ সারা দেশে নিন্দা-প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে। ডিসির এহেন সন্ত্রাসের বিচার চেয়ে সর্বস্তর থেকে দাবি উঠতে থাকে প্রতিকারের। সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজেসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। হাইকোর্ট এই ঘটনাকে নজিরবিহীন ও আইনবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে অইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসক  সাংবাদিক রিগানকে নির্যাতন ও সাজা দেওয়ার ঘটনাকে আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন  এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নিকৃষ্ট উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনও এ ঘটনাকে আইনের শাসনের সাংবিধানিক অঙ্গীকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে।

নির্যাতিত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান জামিন পেয়েছেন অনেকটা অলৌকিকভাবেই। কে তার জামিন আবেদন করেছেন, কে তার আইনজীবী ছিলেন কেউ জানেন না। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জামিন আবেদন করার জন্য তারা কোর্ট চত্বরে যাবার আগেই খবর পেয়ে যান যে, রিগানের জামিন হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ গতিতে রিগানের এই জামিন লাভও জন্ম দিয়েছে রহস্যের। জামিন লাভের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিগান তার ওপর নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে গা শিউরে উঠবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। মধ্যরাতে তুলে নিয়ে এই বর্বরোচিত নির্যাতন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে আলবদর বাহিনী কর্তৃক বুদ্ধিজীবীদের তুলে নেওয়ারই নতুন সংস্করণ যেন। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্গত একটি পদের অধিকারী একজন ব্যক্তি প্রাপ্ত ক্ষমতার এমন অপব্যবহার করতে পারেন, এমনটি ভাবা যায় না। তবে, মানুষ না ভাবতে পারলেও ডিসি সুলতানা পারভীন করে দেখিয়েছেন, ইচ্ছা করলে একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি তার ক্ষমতার অপব্যবহার কীভাবে কতটা করতে পারেন।

ঘটনাটি হালকাভাবে নেয়নি রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় তুঙ্গে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ডিসি সুলতানা পারভীনকে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তার স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন আরেকজনকে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ‘বিভাগীয় ব্যবস্থা’ নিয়ে জনমনে রয়েছে ভিন্ন রকম ধারণা। জনমনের ধারণা, এর অর্থ হলো, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ওএসডি করে রাখা এবং জনরোষ বা প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে এলে সুযোগমতো তাদের সুবিধাজনক পদে পোস্টিং দেওয়া। সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে ডিসির নির্দেশে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাতে দেশের প্রচলিত আইনে তার (ডিসি) এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু হওয়া দরকার। আর এই মামলা রাষ্ট্রপক্ষকেই দায়ের করতে হবে। একজন সাধারণ মানুষ এ ধরনের অপরাধ করলে আইনের যেসব ধারায় মামলা হয়ে থাকে, ডিসি সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধেও সেসব ধারায় মামলা করা উচিত। ‘আইন সবার জন্য সমান’ বা ‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়’—এ আপ্তবাক্যের যথার্থতা প্রমাণের জন্যও এটা করা রাষ্ট্র তথা সরকারের দায়িত্ব। না হলে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

নিজের নামে পুকুরের নামকরণের ভূত কেন ডিসি সুলতানা পারভীনের কাঁধে চেপেছিল জানি না। তবে, এ ধরনের ভূতের আছর অনেকের কাঁধেই চেপে থাকে। রাজধানীর লাগোয়া জেলা মুন্সিগঞ্জ। জেলা শহরে একটি পার্কের নাম রাখা হয়েছে ‘ডিসি পার্ক’। কেন এমন নামকরণ? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সরকারি খাসজমিতে গড়ে ওঠা ওই পার্কটির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন মুন্সিগঞ্জের একজন সাবেক জেলা প্রশাসক। তবে, পার্কটির নির্মাণের খরচ তার নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হয়নি। এ জন্য অর্থ সাহায্য নেওয়া হয়েছিল জেলার ধনাঢ্য ব্যক্তি ও সমাজসেবীদের কাছ থেকে। কিন্তু নাম দেওয়া হয়েছে ডিসি পার্ক। আপত্তির মৃদু গুঞ্জন উঠেছিল তখনই। তবে, তা সংগত কারণেই উচ্চগ্রামে ওঠেনি। প্রশ্ন হলো, ডিসি সাহেব উদ্যোক্তা বলেই পার্কটির নাম ডিসি পার্ক হতে হবে? কেন, ওটার নাম কী ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পার্ক’ বা ‘মুন্সিগঞ্জ টাউন পার্ক’ হতে পারত না? অবশ্যই পারত। তবে, ডিসি বলে কথা! তার কথার ওপর কথা বলবে কে? আর অবস্থাটা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, সরকারের স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সামনে রাজনৈতিক নেতারা অনেকটাই নতজানু। কারণ, তাদেরও তো স্বার্থ বলে কথা আছে! নানা কাজে-অকাজে তাদের ডিসি-ইউএনওদের দ্বারস্থ হতে হয় যে! সুতরাং মাখো তেল যত পারো। আর এ সুযোগে সুলতানা পারভীনের মতো ডিসিরা সংশ্লিষ্ট জেলায় কায়েম করেন নিজস্ব সাম্রাজ্য। সে সাম্রাজ্যে তিনিই একক অধীশ্বর। ইচ্ছে করলেই তিনি রাতকে দিন কিংবা দিনকে রাত করতে পারেন। কারণ, তারা নিজেদের অসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং সব রকম জবাবদিহির ঊর্ধ্বে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে বিশিষ্ট সাংবাদিক পীর হাবীবুর রহমান মন্তব্য করেছেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার মালিক জনগণ বা একজন নিরীহ নাগরিককে সামন্তপ্রভুদের মতো তুলে এনে যে নির্দয় অত্যাচার করা হয়েছে, সেটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন রাষ্ট্রের আদর্শকেই ভূলুণ্ঠিত করেনি; আইন-আদালতকেই তোয়াক্কা করা হয়নি, একজন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন সামন্তশ্রেণির ডাইনির চেহারায় বা দস্যুরানীর মতো নিজের মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এটা সেবকের বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর চেহারা নয়, নির্দয় শাসকের কুৎসিত চেহারা’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৮ মার্চ, ২০২০)। বলা নিষ্প্রয়োজন, এ ধরনের কুৎসিত চেহারা আগে-পরে অনেক দেখা গেছে। তবে, সেসব কুৎসিত চেহারা দেখানেওয়ালা বা ওয়ালীদের তেমন কিছুই হয়নি। ডিসি সুলতানা পারভীন অবশ্য ঘটনা ঘটানোর পর পরিস্থিতি সামাল দিতে সাংবাদিক রিগানেরই শরণাপন্ন হয়েছিলেন। মোবাইল ফোনে  কথা বলে ম্যানেজ করতে চেয়েছিলেন ব্যাপারটা। তার সে ফোনালাপের খবর বেরিয়েছে ১৮ মার্চের পত্রিকায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাকে এবং তার বরকন্দাজ আরো তিন কর্মকর্তাকে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হবে, এ কথা জানানো হয়েছে সরকারের ওপর মহল থেকে। দেশবাসী এ আশ্বাসে অবশ্যই আশ্বস্ত হতে চায়। তবে, তা কতটা কার্যকরভাবে দৃশ্যমান হবে তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে অনেকেরই মনে। সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, রাষ্ট্রের ভাবমর্যাদা রক্ষা এবং সরকারি প্রশাসনের ওপর জনআস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে সুলতানা পারভীনদের মতো বেপরোয়া কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যারা রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুদায়িত্ব বহন করছেন, তাদের অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে- রাষ্ট্রের মালিক জনগণ এবং তাদের প্রতিনিধি হিসেবেই তারা সরকারে আছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে জনগণের চেয়ে নয়।

উপমহাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের একটি গ্রন্থের নাম ‘সুলতানার স্বপ্ন’। সে গ্রন্থের সুলতানার স্বপ্ন ছিল নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং তাদের ক্ষমতায়নের। আজ এত দিন পর আমরা আবার এক সুলতানার স্বপ্ন দেখতে পেলাম। তবে, তা নারীর কল্যাণে নয়, নিজের নামকে অমর করে রাখার উদগ্র বাসনার। কিন্তু তার সে স্বপ্ন ভেঙে গেছে। সে সঙ্গে তা সৃষ্টি করেছে ক্ষমতার অপব্যবহার ও তার পরিণতির দৃষ্টান্তও।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!