• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খান

একটি প্রথম সারির পত্রিকা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে!


বিনোদন প্রতিনিধি অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০১:৫৩ পিএম
একটি প্রথম সারির পত্রিকা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে!

ঢাকা : নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতে আগামী ২৫ অক্টোবর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৯-২০২১ এর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সেই নির্বাচন উপলক্ষে প্রায়ই ধূয়াসার ধ্রুবজাল ছড়িয়ে পড়ছে চলচ্চিত্রের সব অঙ্গণে। প্রায় কাঁদা ছুড়াছুড়ি করছেন একে অপরের দিকে। কিছু চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে রীতিমত এখানে তামাশায় পরিণত হয়েছে।

আমার কিছু বিশ্বস্থসূত্রের তীর ছুরছেন চিত্রনায়ক ওমরসানীর দিকে। তারা এটাও জানিয়েছেন যেখানে চিত্রনায়িকা মৌসুমী সভাপতি দাঁড়িয়েছেন সেখানে মৌসুমীর মিডিয়ার সামনে কথা বলা উচিত। সেখানে বার বার মিডিয়ার সামনে নিজেকে এতো জাহির করাই বা কি আছে!

তাছাড়া গতবারের সভাপতি পদে পরাজয় বরণ করার পর ওমরসানী সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে গিয়েছে। তাছাড়া এবারের নির্বাচনে শুধু তার তাচ্ছিুল্য করে কথা বলার প্রেক্ষিতেই কিন্তু এসব কাঁদা ছুড়াছুড়ি শুরু হচ্ছে। এটা তো আর সরকারি আর বিরোধী দলীয় নির্বাচন নয়। আমরা চলচ্চিত্রের মানুষ। এসব বিষয় দেখে বাইরের মানুষ ছিঃ ছিঃ করছে। তাতে কি আমাদের মান ঠিক তাকছে!

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সকল মিডিয়ার সামনে যখন চিত্রনায়ক ওমরসানী সকল চিত্রনায়কের ক্যাটাগরি ভাগ করে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ভিত্তিহীন ক্যাটাগরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে তো আমরা দেখলাম সে হিসেবে জায়েদ খানের কোন প্রতিক্রিয়াই ছিল না।

এছাড়াও ওমরসানীর একটা বাজে গুন রয়েছে কোন কিছু ঘটনা আর রটনার আগেই সে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আর নানা রকম উস্কানিমূলক ভিডিও ছেড়ে দিচ্ছেন। গতকালের তার দেয়ার ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তাতে জানায় যে সেখানে কোন বহিরাগত নেই।

কিন্তু তার আগের দিন ১৪ অক্টোবর শিল্পী সমিতির সামনে সেইদিনের মিছিলে আসা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় যে সভাপতি পদপ্রার্থী মিছিলে থাকা সেই মহিলাটি তেঁজগাও থানা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর পর তো এ রকম মিথ্যাচার করা তার মোটেও উচিৎ হয়নি বলে জানান তারা। এ সকল বিষয়ে খোলাসা করতেই গতকাল ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে বর্তমান কমিটি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে চিত্রনায়ক জায়েদ খান জানান, ‘এবারের নির্বাচন নিয়ে একটি প্রথম সারির জাতীয় পত্রিকায়সহ বেশ কিছু অনলাইন পোটার্ল যেন আমাদের শিল্পী সমিতির পিছনে উঠে পরে লেগেছে। কিন্তু আমার ভাবনার বিষয় হলো এতে তাদের লাভ কি?

তাদের কি আর কোন সংবাদ নেই। নাকি ব্যাক্তি আক্রোষ থেকে তারা এগুলি করছে। এর কয়দিন আগেও আমাদের সকল সমিতি নিয়েও একটি কটুক্তিমূলক সংবাদ প্রচার করেছে। আমার কথা হলো বাংলাদেশের সব থেকে বড় মাধ্যম হলো এই চলচ্চিত্র অঙ্গণ।

তাছাড়া একটি জাতীয় পত্রিকার একটি পৃষ্টা কিন্তু প্রচলিত আমাদের এই বিনোদনের জন্য। তারা আমাদের জন্য কাজ করবে এবং আমরা তাদের হয়ে কাজ করব। অনেক প্রোগামে আমরাও তো তাদের শুভেচ্ছা দিতে গিয়েছি। কই আমরা তো তাদের নামে কোন বদনাম কিংবা গিবদ গাচ্ছি না। তাই বলি বর্তমান চলচ্চিত্রের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। আপনাদের নিউজ না থাকলে হলিউড বলিউড সহ নানা রকমের টিভি মিডিয়ার নিউজ করেন।

কিন্তু কাউকে জড়িয়ে কিংবা উদ্দ্যোশ্য মূলক গুজব আর ভিত্তিহীন নিউজ থেকে বিরত থাকুন। অনেকের মনে রাখা উচিৎ একটা সবাই বিরক্ত হয়ে এই প্রথম সারির পত্রিকা যদি এই অঙ্গণের শিল্পীরা হাতে নিয়ে পুড়ে ফেলেন তখন কিন্তু আপনারাই হাসির পাত্র হয়ে যাবেন। তার থেকে সবাই মিলে সুষ্ঠ্য নির্বাচনের সহযোগিতা করি। তাতে করে যে দলই জয়ী হবে সেই দলকেই আমরা অভিনন্দন আর সাধুবাদ জানিয়ে চলচ্চিত্রে আগামীদিনের সু-বাতাস বয়ে নিয়ে আসি।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর জানান, ‘আমরা শিল্পী মনা মানুষ। আমাদের এখানে ঝগড়া বিবাদের প্রশ্নই উঠে না। সেখানে কিছু বহিরাগত মানুষ এসে ফুলেল শুভেচ্ছা দিতে এসে কিছু অপিত্তকর ঘটনা ঘটেছিল।
সেখানে আমি বরং নির্বাচন কমিশনকে ফোন দিয়ে নিয়ে এসে সব কিছু মিমাংসা করে দিলাম। সেখানে একটি জাতিয় পত্রিকায় মৌসুমী বলেছেন আমি নাকি চুপ ছিলাম। যেখানে অনেক বিনোদক সাংবাদিক ভাইরা তাৎক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন। আসলে আমি বলব মৌসুমীর সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

আমি অবশ্যই চাইব মৌসুমী বিজয়ী হলে আমি নিজে গিয়ে ফুলের মালা পড়িয়ে আসব। আমি মিশা সওদাগর চলচ্চিত্রে কেমন সেটি কম বেশি সবাই জানে। এটি আমাদের ভালোবাসার জায়গা।

এখানে নোংরা রাজনীতির কোন প্রশ্নই উঠে না। বিষয়গুলি খুবই দুঃজনক। আমরা দু’বছরে যা করেছি সেখানে অনেকেই তা কিন্তু করেনি। কথায় তো অনেক কথায় আসে। যাহারা এতো বড় বড় কথা বলছেন তারা এই দুই বছর কোথায় ছিলেন। তারা কেন নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এসে দেশ ও জনদরদী দেখাচ্ছেন। আমি চাই একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হোক।’

উল্ল্যেখ্য, নির্বাচন কমিশন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আগামী ২৫ অক্টোবর রোজ শুক্রবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে মিশা-জায়েদ খান প্যানেল ও সতন্ত্র সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে চিত্রনায়িকা মৌসুমী এবং সতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কোবরা প্রতিদন্ধী হিসেবে লড়বেন বলে জানা যায়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!