• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

একটু পরই জানা যাবে তাবিথের প্রার্থীতা থাকছে কি না


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ০১:৪২ পিএম
একটু পরই জানা যাবে তাবিথের প্রার্থীতা থাকছে কি না

ঢাকা : নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিকের করা রিটের শুনানি আজ বেলা ২টায় ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।  

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ব্যাপারে আদেশ দিবেন।  

এর আগে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক রিট দায়ের করেন।

গত ২৩ জানুয়ারি তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থীতা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, সিঙ্গাপুরের এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানির তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তাদের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দু’জন তার সহযোগী। তিনজন মিলে এই কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। এই কোম্পানির মূল্য দেখিয়েছে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। এটা বিশ্বের যে কোনো দেশের টাকার অর্থেই এটা বেশ বড়। এই কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল দেখাননি।

তিনি বলেন, তার মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য।  এখন সমস্যা হচ্ছে এ সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যায়, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরই এই প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে, উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না।  তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে। আগামী রোববার এ নিয়ে একটি রিট করার চিন্তা করছেন বলেও জানান বিচারপতি মানিক।

বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে বিচারপতি মানিক বলেন, আমার বিবেকে লেগেছে। আমি দেশের একজন নাগরিক। বিষয়টি যখন আমার চোখে এসেছে। দেশকে যারা ভালোবাসে, তারা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে।  এর সঙ্গে গণতন্ত্র ও দেশের ভবিষ্যৎ জড়িত।

মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি কমিশনের কিছু করার আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন হচ্ছে সর্বোচ্চ। কমিশনকে অভিযোগ দিয়েছি, তারা এখন বিবেচনা করবে। সব কাগজপত্রই দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে আইন তো পরিষ্কার যে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার অর্থ উনি নির্বাচনের অযোগ্য।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!