• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একা থাকলেই নৃশংস সেই দৃশ্য মনে পড়ে সৌম্য-মুমিনুলের


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ২১, ২০১৯, ১০:১৫ এএম
একা থাকলেই নৃশংস সেই দৃশ্য মনে পড়ে সৌম্য-মুমিনুলের

ঢাকা: ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সেই হামলা চোখের সামনে দেখেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। চাইলেই সেই ঘটনা ভোলা সম্ভব নয়। যখনই তারা বাসায় একাকী সময় কাটাচ্ছেন হয়তো চোখের সামনে ভেসে উঠছে ভয়াবহ সেই সন্ত্রাসী হামলা।

মানসিক এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকেই ক্রাইস্টচার্চের নৃশংস দৃশ্য ভুলতে ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছেন। লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলতে নেমেই ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল হক। তাঁকে দেখে স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। কিভাবে পারলেন দ্রুত মানিয়ে নিতে?

মুমিনুল বলে গেলেন, ‘শুরুতে অনেক ভয় লেগেছিল। ওখানে খুব আতঙ্কিত ছিলাম। যখন বাংলাদেশে এলাম, অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। বাসায় এসে মা-বাবাকে পেয়েছি। উনারা কক্সবাজার থেকে ঢাকার বাসায় এসেছেন। পরিবারের কাছে ফিরে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হয়েছে। মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা গেছে অনেকটাই। তবে পুরোপুরি পেরেছি সেটা বলা বোধ হয় ঠিক হবে না।’

যখন একা থাকেন বা কোনো কাজ থাকে না তখনই মুমিনুলের স্মৃতিতে ফিরে আসে বিভীষিকাময় সেই দৃশ্য,‘ খেলার সময় কিছুই মনে পড়ে না। যখন একা থাকি, তখন মনে পড়ে। নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে খেলা শুরু করেছি এ কারণেই। কিছুতে জড়িয়ে ফেললে খুব একটা মনে পড়ে না।’

মুমিনুলের মতো সৌম্য সরকারেরও একই অবস্থা। একা থাকলেই বেশি মনে পড়ে ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা। তাই বিশ্রাম না নিয়ে ক্রিকেটেই মন দিয়েছেন সৌম্য, ‘বিশ্রাম নিয়ে কী হবে? খেলাই তো আমার কাজ। খেললেই সবকিছু স্বাভাবিক মনে হবে, এ চিন্তা করেই খেলছি। এ মুহূর্তে মাঠে থাকলেই ভালো লাগে। বাসায় একা থাকলে বরং ওই ঘটনা বেশি মনে পড়ে। অনুশীলন, ম্যাচ, পারফরম্যান্স-এসবের মধ্যে জড়িয়ে থাকলে ভাবনায় অন্য কিছু আর আসে না।’


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!