• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এখনো উজ্জ্বল পূর্ণিমা


বিনোদন প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ০২:৩৩ পিএম
এখনো উজ্জ্বল পূর্ণিমা

ঢাকা : দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ তারকাদের একজন। ঢাকার চলচ্চিত্র যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে থাকে, সেই অন্ধকারেও আশার আলো ছড়িয়ে দেন তিনি। প্রথম ছবি ‘মনের মাঝে তুমি’র মাধ্যমে ক্যারিয়ারের শুরুটাও উজ্জ্বল করে তোলেন পূর্ণিমা। এরপর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে আরো একধাপ উচ্চতায় ওঠেন তিনি।

নাটক, বিজ্ঞাপন এবং চলচ্চিত্রে পূর্ণিমা যখন অপরিহার্য হয়ে ওঠেন, তখনই আচমকা বিয়ে করেন এ তারকা। সবকিছু থেকে দূরে সরে যান এ নায়িকা। তবে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসার কারণে সংসার-সন্তান সামলে আবারো ফিরে এসেছেন শখের জগতে। আগের মতো আবারো সব মাধ্যমে সরব হয়ে আলো ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

গেল বছর জুড়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। নতুন বছরের শুরুতেই ওমরা পালন করলেন পূর্ণিমা।

গুঞ্জন উঠেছে, এবার অভিনয় জীবনের আনুষ্ঠানিক ইতি টানতে চলেছেন তিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উড়ে বেড়ানো এ তথ্যটি পুরোটাই গুঞ্জন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ গ্ল্যামার কন্যা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সত্য নয়। অভিনয়ই আমার পেশা। ধর্ম পালন করাটা আমার দায়িত্ব। তাই অভিনয় ছাড়ার কোনো কারণ নেই। অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল পবিত্রভূমি মক্কা-মদিনায় যাব, ওমরা হজ পালন করব। অবশেষে ইচ্ছাটা পূরণ হলো।’

জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় ১৯৯৭ সালে রিয়াজের বিপরীতে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় পূর্ণিমার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো সুপারহিট আবার কখনো ফ্লপ সিনেমাও উপহার দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি আপলোড করলেই, তা হু হু করে ওড়ে অন্তর্জালে। মাঝের বেশকিছু সময় চলচ্চিত্রে না থাকলেও ছোটপর্দায় তাকে পাওয়া গেছে নিয়মিত। কখনো উপস্থাপনায়, কখনো নাটকে। তবে গত বছরের শেষ দিকে বড়পর্দায় আবার ব্যস্ত হয়ে ওঠেন।

পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের পরিচালনায় দুটি ছবিতে কাজ করছেন তিনি। একটি ‘জ্যাম’ আরেকটি ‘গাঙচিল’। থেমে থেমে এখনো চলছে শুটিং। তবে বেশিরভাগই শেষ। আসন্ন ঈদুল ফিতরে ‘গাঙচিল’ ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে দীর্ঘদিন পর এ বছর আবার রুপালি পর্দায় দেখা মিলতে পারে পূর্ণিমার। এ বিষয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘দুটি সিনেমারই শুটিং চলছে। একটি সিনেমার নাম জ্যাম। আরেকটি সিনেমার নাম গাঙচিল। পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালনা করছেন দুটি সিনেমা। বেশিরভাগ কাজই শেষ হয়েছে।’

চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে কথা বললেও চরিত্র নিয়ে খোলাসা করেননি তিনি। জ্যামের চরিত্র নিয়ে পূর্ণিমার ভাষ্য, ‘আপাতত জ্যামের চরিত্রটি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। একটু চমক থাকুক। এটুকু বলব, দর্শকরা নতুন কিছু পাবেন। সুন্দরভাবে কাজটি শেষ হোক এই প্রত্যাশা করছি। তারপর মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকরা গল্পটুকু জেনে নেবেন।’

অন্যদিকে গাংচিল সিনেমায় পূর্ণিমাকে দেখা যাবে একজন এনজিওকর্মীর চরিত্রে। এ নিয়েও কথা বলেন তিনি। পূর্ণিমার ভাষ্যমতে, ‘গাঙচিল সিনেমায় আমি অভিনয় করছি একজন এনজিওকর্মীর চরিত্রে। যে কী না একসময় উপকূলীয় এলাকায় চলে যায় সাহায্য করার জন্য। সেখানে একটি ঝড় হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করতে যায়। তারপর সেখানে পরিচয় হয় একজন সাংবাদিকের সঙ্গে। সাংবাদিক চরিত্রটি করছেন ফেরদৌস।’

পূর্ণিমাকে বিশেষ বিশেষ দিবসে পাওয়া গেছে ছোটপর্দায়ও। এ মাধ্যমটি নিয়েও তার রয়েছে বেশ আগ্রহ। তবে শর্ত আছে। মনের মতো গল্প না পেলে প্রস্তাবে সাড়া দেবেন না বলেও জানান তিনি। প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা থেকে পূর্ণিমা বলেন, ‘শুধু আমি কেন, দর্শকরা ভালো গল্প চান। ভালো গল্প হলে দর্শকরা অবশ্যই প্রেক্ষগৃহ ও টিভির সামনে বসবেন। যেসব সিনেমার গল্প স্ট্রং সেসব সিনেমা দেখতে এখনো দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করেন।

এদিকে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’, যা নির্মাণ করছেন জুয়েল মাহমুদ। এতে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা চরিত্রে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। আর বঙ্গবন্ধু চরিত্রে থাকছেন আহমেদ রুবেল। গত সপ্তাহে মানিকগঞ্জ থেকে এর শুটিং করে এসেছেন পূর্ণিমা।

পূর্ণিমা বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক চরিত্র। তবে এখানে আমার উপস্থিতি কম পরিসরে। কিছুটা ক্যামিওর মতো। বঙ্গবন্ধুর যৌবনকালের সময়টুকুতে দেখা যাবে আমাকে। তিনি তখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে সারা দেশে আন্দোলন করে বেড়ান। আর আমি ঘর সামলাই। অল্প সময়ের হলেও খুব চ্যালেঞ্জিং একটা চরিত্র। এখানে আমাকে ইয়াং বয়সে দেখা যাবে। আশা করছি এ চলচ্চিত্রটি দেখে দর্শক অনেক কিছু জানতে পারবেন।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!