• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘এখানে কোনো ‘গিভ এন্ড টেক’ নেই’


বাবুল হৃদয় জুন ১২, ২০১৮, ০৪:৪২ পিএম
‘এখানে কোনো ‘গিভ এন্ড টেক’ নেই’

রবী চৌধুরী

মডেল, অভিনেতা, প্রযোজক ও ইভেন্টস প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রেন্ডস ভিউ’র কর্ণধার রবী চৌধুরী। ফ্যাশন, ইভেন্টস, মিডিয়া প্রোগ্রামসহ নানা কর্মব্যাপ্তি নিয়ে সফল অগ্রযাত্রা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরু থেকেই ‘ফ্রেন্ডস ভিউ’ সবার নজর কেড়েছে ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড ও ফ্যাশন নাইট-২০১৭’ আয়োজন করে। সম্প্রতি সোনালীনিউজ অফিসে এসেছিলেন তরুণ উদ্যোক্তা ও অভিনেতা। ব্যক্তি ও কর্মময় জীবনের নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন বাবুল হৃদয় ।

এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে ?
সামনে ঈদ। আমার একটি ‘স্টাইল ভিউ’ নামে অনলাইন ফ্যাশন হাউজ আছে, এর ফটোশ্যুটসহ বেচা-কেনা নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। পাশাপাশি ঈদের পরে ‘প্রতিশোধ’ নামে একটি টেলিফিল্ম বানাবো, এটা গুচাচ্ছি। জুলাই মাসে ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড ও ফ্যাশন নাইট ২০১৮’ আয়োজন করবো, এর প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি রিয়েলিটি শো করার ইচ্ছে আছে। এটার কাজও শুরু করেছি।

রবী চৌধুরী

এ লাইনে এলেন কিভাবে?
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। মামা ইব্রাহিম খলিল সিনেমার সাইড হিরো ছিলেন। তার অভিনয় দেখতাম। স্কুল-কলেজের অনুষ্ঠানে অংশ নিতাম। এছাড়া ছোটবেলা থেকেই আমি সুন্দর নাদুস-নুদুস ছিলাম, সবাই মজা করে হিরো বলতো। খুবই ফ্যাশনেবল ছিলাম। গেটাপ নিয়ে চলতাম। হিরো না হলেও তখন সবাই পোশাকের কারণে হিরো বলতো। এগুলো শুনতে শুনতেই মিডিয়ার পোকা মাথায় ঢুকলো। এই তো শুরু হল বিজ্ঞাপন দিয়ে মিডিয়ায় পথচলা। ২০১০-১২ সালের কথা। পরিচালক সম্রাট সাহেব ঢাকা থেকে আসে চট্টগ্রামের ‘বৈঠক বাজার’ বিজ্ঞাপন বানাতে। সেখানে বন্ধুদের মাধ্যমে পরিচয় হয় আমার সঙ্গে। আমাকে দেখে ওদের পছন্দ হয়। এইতো প্রথম কাজ করে সাহস বেড়ে যায়। শুরু হয় মিডিয়ায় পথচলা।

পরে আর কোনো বিজ্ঞাপনে কাজ করা হয়েছিল?
হ্যা, হয়েছিল। এরপর পটিয়াতে ‘বড় বাজার’ বিজ্ঞাপনে আমাকে নেয়া হয়। পরিচালকের সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ঢাকায় এসে বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওর নায়ক হই।  সাহস দিন দিন বাড়তে থাকে। এগুলো সবাই দেখার পর ফিল হয় পারবো। এরপর ঢাকায় রোকন সরদারের সিরিয়াল ‘ফকির বাড়ি’ এক ঘন্টার নাটক ‘লোকচুরিসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। নতুন বেশ কিছু একক ও ধারাবাহিক নাটকে কাজের কথা চলছে। নিজের প্রোডাকশনতো রয়েছেই।

সোনালীনিউজে একান্ত সাক্ষাতকারে রবী চৌধুরী ও বাবুল হৃদয়

‘ফ্রেন্ডস ভিউ’ নিয়ে কিছু বলেন?
‘ফ্রেন্ডস ভিউ’ মূলত একটি ইভেন্টস প্রতিষ্ঠান। এর কিছু অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রযেছে যেমন- ডিজেবল টেলেন্ট ফাউন্ডেশন, ফ্রেন্ডস ভিউ মডেল এজেন্সি, স্টাইল ভিউ, ফুড জোন ও গ্লামার ভিউ। আমাদের সবকটি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। নতুনদের আলো ছড়িয়ে দিতেই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। ইতোমধ্যে খুব অল্প সময়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানটির ভারো কিছু কাজে মিডিয়ায় চিনেছে। ২০১৬ সালে ঢাকায় আমরা শুরু করলেও এরই মধ্যে বড়বড় ২৪টি ফ্যাশন শো করেছি। ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড ’করেছি। অনেক খ্যাতিমান তারকাদের আমরা সম্মাননা দিয়েছি।

আপনাদের ফ্রেন্ডস ভিউ মডেল এজেন্সির কাজ কী, এখানে কতজন মডেল রয়েছেন?
‘ফ্রেন্ডস ভিউ মডেল এজেন্সি’র কাজ নতুন যারা আগ্রহী তাদের মডেল হিসেবে গড়ে তোলা, তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মিডিয়ার বিভিন্ন অঙ্গনে যেমন- নাচ, ফ্যাশন, মিউজিক ভিডিও, র‌্যাম্প মডেল, অভিনয়, বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে গড়ে তোলা। আমাদের এখন ৭০ জনের বেশি মডেল আছে। যাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দেশ বরেণ্য মডেলরা। জান্নাতুল নাইম এভ্রিল আমাদের ব্রান্ড এ্যামবাসেডর।

টেলিফিল্ম ‘প্রতিশোধ’ এর মহরতে শিল্পী ও কলাকুশলীগন

আগামীর ভাবনা কী?
মিডিয়ায় নতুন ছেলে মেয়েদের ক্যারিয়ায় গড়তে অবদান রাখতে চাই। অনেক মেধাবী, ভালো ঘরের ছেলে-মেয়ে রয়েছে যারা মিডিয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ আচরণের কারণে মিডিয়ার আসতে ভয় পায়, তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। মিডিয়ায় ‘গিভেন টেক’ বলতে যে শব্দ রয়েছে আমাদের এখানে গিভ এন্ড টেক’ নেই। এখানে ছেলে-মেয়েরা পারিবারিক বলয়ে সবাই কাজ করে।

আপনার জন্ম ও শৈশব কেটেছে কোথায়?
আমার জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া থানায়। শৈশব-কৈশর এখানেই কেটেছে। পড়াশুনাও করেছি পটিয়ায়। সবশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!