• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এনামুল-রুপনের বাড়িতে ৫ সিন্দুকভর্তি টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ১১:৫৭ এএম
এনামুল-রুপনের বাড়িতে ৫ সিন্দুকভর্তি টাকা

ঢাকা : রাজধানীর পুরান ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, এফডিআর ও ক্যাসিনোসামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার লালমোহন স্ট্রিটে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, ঘটনাস্থলে র‌্যাবের অভিযান এখনও চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফয়জুল ইসলাম বলেন, নিচতলার ওই বাসায় কেউ থাকত না। বেশ সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা ছিল সবকিছু। এনু-রুপনের দুই ডজন বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এ বাসার সন্ধান পাই।

তিনি বলেন, অভিযানে ওই বাড়িতে টাকা ভর্তি ৫টি সিন্দুক পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার। সিন্দুকে পাওয়া নগদ টাকা গোনার কাজ চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে টাকার অঙ্ক ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকাও হতে পারে। টাকা গোনার জন্য মেশিন আনা হয়েছে। বাড়িতে বেশ কিছু ক্যাসিনো সরঞ্জামও পাওয়া গেছে, যেগুলোয় ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সিল লাগানো ছিল।

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র‌্যাব। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫টি সিন্দুকভর্তি প্রায় ৫ কোটি টাকা, ৮ কেজি সোনা এবং ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। র‌্যাবের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, সিন্দুকে পাওয়া ওই টাকার উৎস ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো। টাকা রাখতে জায়গা বেশি লাগে বলে কিছু অংশ দিয়ে সোনা কিনে রাখতেন এনামুল। 

ওই ঘটনার পর মোট ৭টি মামলার করা হয়, যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।

বেশ কিছুদিন পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার হন এনু ও রুপন।

জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুরান ঢাকার ১১৯ লালমোহন সাহা স্ট্রিটে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!