• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এফডিসিতে ঢুকতে বাঁধার মুখে পড়ছেন মৌসুমীর সমর্থকরা (ভিডিও)


বিনোদন প্রতিবেদক অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৭:২৫ পিএম
এফডিসিতে ঢুকতে বাঁধার মুখে পড়ছেন মৌসুমীর সমর্থকরা (ভিডিও)

ঢাকা: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২৫ অক্টোবর। এই নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিএফডিসি। ধারণা করা হচ্ছে, সভাপতি পদে দুই প্রার্থী মৌসুমী ও মিশা সওদাগরের মধ্যে জোর লড়াই হবে। তবে নির্বাচনে লড়তে গিয়ে শুরু থেকেই নানা বাঁধার মুখে পড়েছেন মৌসুমী। তিনি ‘অদৃশ্য শক্তির’ প্রভাবে প্যানেল দিতে পারেননি। তারকা যেসব শিল্পীরা মৌসুমীর সঙ্গে ছিলেন তারা দূরে সরে চলে গেছেন। এরপর স্বয়ং মৌসুমীকেও চাপ দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার। কিন্তু তিনি সরে না গিয়ে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছেন।

তবে মৌসুমী অভিযোগ করেছেন তাঁর সমর্থকদের বিএফডিসিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা কোনওভাবেই এই নায়িকা মানতে পারছেন না। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন,‘ ১৮০ থেকে ৮২ জনের মতো শিল্পীর সদস্যপদ স্থগিত করে সহযোগী সদস্য বানিয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা তো স্বাভাবিক না। এরা দীর্ঘদিন ধরে এই অঙ্গনে কাজ করছে অথচ তাদের বাদ দেওয়া হলো, আর অনেককে যারা আমরা চিনি না, তাদেরকে সদস্য করা হয়েছে।'

মৌসুমী অভিযোগ করে বলেন, 'সহযোগী সদস্য করা সেইসব শিল্পীদের এখন এফডিসিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা ঢোকার চেষ্টা করছে, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমি যখন এফডিসিতে এলাম তখন বেশ কয়েকজন শিল্পী এসে আমাকে ঘিরে ধরে বলল, দুইটা আড়াইটা থেকে আপনার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমার গাড়িভাড়া নেই, সেই টাকা দিয়ে অনেক অনুনয় বিনয় করে এফডিসিতে ঢুকেছি।'

বিষয়টি খারাপ লেগেছে উল্লেখ করে মৌসুমী বলেন, 'এটা আমার খারাপ লেগেছে। তারা তো সদস্য ছিল কিন্তু তাদের ঢুকতে না দেওয়ার মানেটা কী? তারা কাজ করেছে। সদস্যপদ স্থগিত করেছে সহযোগী সদস্য বানিয়েছে কিন্তু তারা ঢুকতে পারবে না কেন?  কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, এর নেপথ্য কোনও কারণ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, 'অবশ্যই কারণ তো আছে। কেউ না কেউ তো চেষ্টা করছেই। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়।'

নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে মৌসুমী বলেন, 'প্রচার প্রচারণার কাজ কম হচ্ছে। কিন্তু সেটা গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা ও সংবাদ প্রকাশের কারণে সেটা পুষিয়ে যাচ্ছে। আমি শিল্পীদের বাসায় বাসায় যেতে পারছি না কিন্তু তাদের কাছে মেসেজটা পৌঁছে দিতে পারছি। সম্মানিত ভোটারদের কাছে যাওয়া উচিৎ ছিল কিন্তু যেতে পারছি না তবে আমার বার্তা পৌঁছে  যাচ্ছে।'

মৌসুমীর কোনও নির্বাচনী ইশতিহার নেই। না থাকার পেছনে কারণ আছে বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। তিনি বললেন, 'আমি ইশতিহার দেইনি ইচ্ছে করেই। ইশতিহারে উল্লেখ করে সেটা যদি রাখতে না পারি তাহলে সেই ইশতিহার দিয়ে কী হবে? আমি যদি নির্বাচিত হই তারপরে কাজ করব। আপাতত আমাদের চিন্তা ভালোভাবে নির্বাচন করা। আমি প্রতিদিন মাথাঠাণ্ডা করে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি।'

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!