নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও রাষ্টবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক যদি এতই অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরে ফেলা হোক।’ ৭০টি মামলায় জামিন হওয়ার পরও আরেকটি মামলা মাহমুদুর রহমানের ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার জামিন দেয়া হচ্ছে না। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। এমন ষড়যন্ত্র কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দেয়ায় এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক শওকত মাহমুদসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সামবেশে আরো বক্তব্য দেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমত উল্লাহ, কল্যাণ পার্টির নেতা সাইদুর রহমান তামান্না, ওলামা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ড. এমাজউদ্দিন আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কাউন্সিল হলে দলগুলোর মধ্যে নতুন শক্তি সঞ্চার হবে এবং নেতৃত্বে নতুনত্ব এলে, সবার মানসিকতারও পরিবর্তন হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিলের আগে যেসব নেতা কারাগারে আছেন তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন।’
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারের মুক্তি দাবি করে সাবেক এ উপাচার্য বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এসময় নিজের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ আসার আগেই আপনমৃত্যু কামনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দিন।
লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে এ নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ অভিযোগ করে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকবে। ভারতে কয়েক দিনে নির্বাচন হলেও ফলাফল এক দিনে প্রকাশ করা হয়। আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা না করলে সংঘাত অনিবার্য।’
সোনালীনিউজ/এমএইউ
আপনার মতামত লিখুন :