• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এমপি ও মেয়র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত


পটুয়াখালী প্রতিনিধি মে ২৪, ২০২০, ১০:৪৬ পিএম
এমপি ও মেয়র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে এমপি ও মেয়য় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তাপস (২৫) নামের এক যুবলীগ কর্মী  নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। 

রোববার (২৪ মে) দুপুরে বাউফল থানার সামনে তোরণ নির্মাণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে থানার সামনে বাউফল পৌরসেভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষে একটি তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এ সময় এমপি আসম ফিরোজ গ্রুপের পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি  ও নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে বাঁধা দেয়। এ খবর পেয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ঘটনাস্থলে আসলে ইব্রাহিম ফারুকের সাথে তার তর্ক বিতর্ক হয়। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা মারমুখি হয়ে পরে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। 

এই সংঘর্ষ চলাকালে ইউএনও এবং বাউফল সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের মধ্যস্থতায় মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও ইব্রাহিম ফারুককে নিয়ে ওসির রুমে সমঝোতা বৈঠক চলাকালে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির মোল্লার নেতৃত্বে কালাইয়া থেকে ২০-৩০ জন লোক মোটর সাইকেলযোগে থানার সামনে এসে জয়বাংলা স্লোগান দেয়। এ সময় মেয়র গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা ডাকবাংলোর মধ্যে আশ্রয় নেয়। তখন এমপি গ্রুপের যুবলীগ কর্মী  তাপস (২৫) ও পঙ্কজকে (৩৫) কুপিয়ে জখম করে মেয়র গ্রুপের লোকজন। 

এ ঘটনার আগে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় একই গ্রুপের নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক  জসিম উদ্দিন ও ছাত্রলীগ কর্মী শামীম এবং মেয়র গ্রুপের যুবলীগ কর্মী ইব্রাহিম (৩৫), বাউফল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ (২৫) আহত হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। আহতদের মধ্যে যুবলীগ কর্মী তাপসকে (২৫) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পঙ্কজকে (৩৫) বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রাত ৮টার দিকে তাপস মারা যায়। 

এ ব্যাপারে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েল বলেন,‘ শহরের পরিবেশ অশান্ত করতেই  ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সংবলিত করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে তোরণ নির্মাণকালে বাধা দেয় এবং তোরণের মালামাল ভাংচুর করে।  

পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নাজিরপুরের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ওখানে আমাদের একটি তোরণ ছিল। কয়েকদিন আগে ভেঙে পড়ে ।  আমরা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে মেয়র এসে আমাদের বাঁধা দিয়েছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। 

বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!