• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এলিন অ্যাশ বেঁচে আছেন এখনো


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ২, ২০১৬, ০৯:৫৫ এএম
এলিন অ্যাশ বেঁচে আছেন এখনো

নাম এলিন অ্যাশ। ইংল্যান্ড নারী দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন সেই ১৯৩৭ সালে। শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেন ১৯৪৯ সালে। এতো বছর পর তিনি আবারো মিডিয়ায়! কারণ একটাই, টেস্ট খেলেছেন ৭৯ বছর আগে। বয়সটা ১০০ পেরিয়ে গেছে বেশ আগেই, কিন্তু তিনি এখনো বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন, সুখেই আছেন। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী টেস্ট ক্রিকেটার। বয়স যে ১০৫ বছর পূর্ণ করলেন।

শুধু বেঁচে আছেন বলেই নয়, বেশ সুস্থ-সবলও আছেন বয়সের তুলনায়। এ কারণেই প্রতি জন্মদিনের আগে তাঁকে নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয়। এত দীর্ঘ সুস্থ জীবনের রহস্য কী? অ্যাশ নিজেও ব্যাপারটি নিয়ে মজা পান হয়তো। বিবিসিকে দীর্ঘ জীবনের ‘রহস্য’ জানাতে গিয়ে বলেছেন, প্রতিদিন যোগব্যায়াম আর প্রতিদিন দুই গ্লাস করে রেড ওয়াইন—এটাই নাকি মূল রহস্য। অ্যাশ তাঁর জীবনে ২৩ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় বসতে দেখেছেন। দেখেছেন ব্রিটেনের চার রাজা কিংবা রানিকে। এই বয়সে হলুদ রঙের ছোট্ট একটা গাড়ি নিজে চালিয়ে এখানে-ওখানে ঘোরেন। বয়সটা যে তাঁর কাছে একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁর প্রশ্ন, ‘আচ্ছা, আমি সত্যি সত্যিই কবে বুড়ো হব? বয়সটা ১০৫ হলে?’

এই পৃথিবীর হাতে গোনা সৌভাগ্যবানদের একজন তিনি। যিনি শতবর্ষে এসেও জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করে যাচ্ছেন। রোগ-জরা স্পর্শ করতে পারেনি। অ্যাশও নিজের পুরোপুরি নিশ্চিত নন নেপথ্য কারণটি কী! তবে তিনি বলেছেন, ‘যোগব্যায়াম একটা কারণ হতে পারে। যোগব্যায়াম শরীরের মাংসপেশি সজীব রাখে। মস্তিষ্কও সজাগ ও চালু রাখে। আমার শরীরের চামড়া এখনো কুঁচকে যায়নি। খুব সম্ভবত, আমি “বুড়ো” হয়ে গেলে চামড়ায় টান লাগতে পারে!’

ইংল্যান্ড নারী দলের হয়ে ৭টি টেস্ট খেলেছেন অ্যাশ। ক্রিকেট এখনো তাঁর ‘প্রথম ভালোবাসা’। জীবনে তাঁর স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে আছে ইংল্যান্ড নারী দলের হয়ে ১৯৪৮-৪৯ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফর। ক্রিকেট যদি তাঁর ‘প্রথম ভালোবাসা’ হয়, তাহলে ‘দ্বিতীয় ভালোবাসা’ তাঁর মিনি কুপার গাড়িটি। তাঁর এ রকম দুটি মিনি আছে। নিজের এলাকাতে তিনি ‘হলুদ মিনি চালানো নারী’ হিসেবেই পরিচিত।

নিচের মিনি–প্রীতি নিয়ে বলেন, ‘আমার দুটি মিনিই দারুণ। এই গাড়িগুলো ছোট। খুব দ্রুত ছোটে। এই গাড়ি আপনাকে খুব সহজেই জনবসতি থেকে দূরে নিয়ে যেতে পারে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমি হয়তো মিনির বদলে মোটরবাইকই চালাচ্ছি।’ তা তিনি মোটরবাইকও হাঁকাতে পারবেন বৈকি! আরও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুন এই দিদি মা! সূত্র: বিবিসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!