• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এসপি বাজারে আসতেই পেঁয়াজের দাম কমলো ৩০ টাকা


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০২:৫৭ পিএম
এসপি বাজারে আসতেই পেঁয়াজের দাম কমলো ৩০ টাকা

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া পৌরবাজার। বাজারের আড়তে ও খুচরা দোকানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছিলেন ২২৫ টাকা কেজিতে। তবে ৫ মিনিটের ব্যবধানে সেই চিত্র হঠাৎ হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।  

শনিবার সকাল ৮টা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসপি বাজারে আসতেই এক লাফে ২৫-৩০ টাকা কমিয়ে ২০০ টাকা কেজিতে পেয়াঁজ বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় ভোক্তারা ধন্যবাদ জানান পুলিশ সুপারকে।

তবে জেলা প্রশাসন, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তার তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

পেঁয়াজের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত শনিবার সকালে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার পৌর মার্কেটের আড়তে অভিযানে নামেন।  এ সময় এসপি ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলামসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসপি বাজারে গিয়েই প্রথমে পেঁয়াজের আড়তে ঢোকেন।  এ সময় বেশ কয়েকজন ক্রেতা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে ব্যবসায়ীরা ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে পেয়াজ বিক্রি করছিলেন।  অভিযানের পরে দাম এক লাফে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমিয়ে দেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, তারা পাইকারি বাজার থেকে সকালে ১৯০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ ক্রয় করেন।  এ সময় ব্যবসায়ীরা ২২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছিলেন।  এক কেজি পেঁয়াজে ব্যবসায়ীরা লাভ করছিলেন ৩৫ টাকা।

ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন জানান, পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক কম।  আড়তে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।  খুচরা বাজারের অনেক ব্যবসায়ী ইচ্ছামত দামে বিক্রি করছেন।  এটা নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা দরকার।

এ সময় পাইকারি ও খুচরা বাজারের প্রতিটি দোকানে গিয়ে পেয়াজের দরের বিষয়ে খোঁজ ও দাম যাচাই করেন পুলিশ সুপার। তিনি প্রতিটি ব্যবসায়ীকে সাবধান করে দেন দামের ব্যাপারে।  কেউ যদি অতিরিক্ত ও বেশি মুনাফা করে তাদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।

পরে সাংবাদিকদের বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে কেউ সিন্ডিকেট করলে তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজারে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে।  তারা সব তথ্য সংগ্রহ করছে।  দাম নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাবধান করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এরপর অনিয়ম পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তিনি সকলকে এ ব্যাপারে সজাগ হওয়ার অনুরোধ করেন।

পুলিশ সুপার বাজার থেকে চলে আসার পর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেও বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।  তবে ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেন। এতে ভোগান্তিতে পরেন ভোক্তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে। সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে।  এ ধরনের অভিযানকে তারা সাধুবাদ জানান।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!