• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঐতিহাসিক এই জয়ে অভিনন্দন টাইগারদের


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৩১, ২০১৬, ০৫:৪২ পিএম
ঐতিহাসিক এই জয়ে অভিনন্দন টাইগারদের

ক্রিকেট-বিশ্বে নিজের জায়গা করে নেয়াটা যে খুব দূরে নয়, সেটি ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েই জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো, নিউজিল্যান্ডকে দুই দফায় হোয়াইটওয়াশ, ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা, নিজেদের শততম ওয়ানডেতে ভারতকে হারানো, কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়া-বধ, গত বছর টানা তিন ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো। এতসব সাফল্যের পরও বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্মরণীয় অর্জন মিরপুর টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। টাইগারদের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও এগিয়ে রাখলেন এ জয়টিকে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এটিকেই আমাদের ক্রিকেটে নিজেদের সবচেয়ে বড় অর্জন বলতে হবে।

যেভাবে আমরা গত তিন দিন লড়াই করেছি, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই টেস্ট জয় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন। হাজারও স্বপ্ন ছাড়িয়ে মিরপুরে রচিত হলো গৌরবময় জয়ের এক নতুন ইতিহাস। এ জয়ের নায়ক তরুণ সেনসেশন মেহেদি হাসান মিরাজ, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব, অভিজ্ঞতাদীপ্ত তামিমসহ বিজয়ী দলের টাইগাররা। বলা যায়, গোটা দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এযাবৎকালের সবচেয়ে স্মরণীয় জয়টি।

২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার স্বীকৃতির পর এ পর্যন্ত আটটি জয় এসেছে টেস্ট ক্রিকেটে। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এবারের জয় ক্রিকেটের আদিভূমি এবং বিশ্বক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত দল হিসেবে বিবেচিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সাম্প্র্র্রতিক সময়ে একদিনের ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছিল টাইগাররা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টেও চমকপ্রদ নৈপুণ্য প্রদর্শনের পর নিঃসন্দেহে এখন সবাই নতুন চোখে দেখবে বাংলাদেশকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে অবদান রাখার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে বলতে হবে নতুন বিস্ময় মেহেদি হাসান মিরাজ ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের কথা। স্পিনারদের কাছে যেখানে দুই ইনিংসেই নাস্তানাবুদ হয়েছেন দুই দলের নামিদামি ব্যাটসম্যানরা, তখন তামিম ইকবাল প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের জন্য এনে দিয়েছেন শুভসূচনা। টেস্টের শেষ পর্বে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আবার প্রমাণ করলেন, তার জুড়ি নেই।

তবে জয়ের নায়ক বিস্ময়বালক মেহেদি হাসান মিরাজ। কাটারমাস্টার হিসেবে নন্দিত মুস্তাফিজুর রহমানের মতোই বিশ্বক্রিকেটকে আরেক বিস্ময়বালক উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজ মাত্র দুই টেস্ট ম্যাচেই নিয়েছেন ১৯ উইকেট; অভিষেক টেস্টে ৭ ও দ্বিতীয় টেস্টে ১২টি। চট্টগ্রাম টেস্ট ম্যাচেও ইংল্যান্ড দলকে তিনি কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই টেস্টে বাংলাদেশ হেরে যায় জয়ের মাত্র ২২ রান দূরে থাকতে।

তবে গত টেস্ট জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন করে পথচলা শুরু। আমাদের প্রত্যাশা- জয়ের এ ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবে টাইগাররা। ঐতিহাসিক এই জয়ে কোচ-কর্মকর্তাসহ দলের সবাইকে অভিনন্দন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা

Wordbridge School
Link copied!