• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০১৮, ১১:৩২ এএম
ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ

ঢাকা : বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস। বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, জাতির মুক্তি সনদখ্যাত ৬ দফা এবং পরে ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণ-অভ্যুত্থান। এ পথ বেয়েই রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ঘোষণা করেন ঐতিহাসিক ৬ দফা। এই দাবি আদায়ে আন্দোলন গড়ে ওঠে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট তখন আইয়ুব খান। তিনি এই দাবির মধ্যে পাকিস্তানকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র খুঁজে পান।

তার নির্দেশে এই আন্দোলনকে বানচাল করতে পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে পদস্থ বাঙালি সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে কাল্পনিক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ফলে আন্দোলনের গতি বেগবান হয়। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা-শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ ও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।

ঊনসত্তরের ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি অভ‚তপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর ও রুস্তম শহীদ হন।

প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভারেও আগুন ধরিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদগেট নামকরণ করেন।

অভ্যুত্থানের মুখে স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান পদত্যাগে বাধ্য হন। শুরু হয় নতুন করে ষড়যন্ত্র। পরে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পথ বেয়েই রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!