• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঐতিহাসিক নীলকুঠিতে তৈরি হচ্ছে ইকো পার্ক


মেহেরপুর প্রতিনিধি মার্চ ২, ২০১৭, ০৫:৩২ পিএম
ঐতিহাসিক নীলকুঠিতে তৈরি হচ্ছে ইকো পার্ক

মেহেরপুর: জেলার গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া নীলকুঠিকে ঘিরে তৈরী হচ্ছে ডিসি ইকো পার্ক। বৃহষ্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ এ পার্কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

টিআর এবং কাবিখা প্রকল্প থেকে এ পার্কের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সেন।

পাঁচ একর জমির উপর প্রাথমিকভাবে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এর অর্থ ব্যয় করা হবে। পার্কে থাকবে দর্শনার্থীদের বসার শেড, লেক, ব্রীজ, ম্যুরাল ও ফুলের বাগান। এ ছাড়াও নীল কুঠির ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত করা হবে।

জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ জানান, নীল কুঠির ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে। এটি সংরক্ষণ করা ছাড়াও পার্ক নির্মাণ করলে একদিকে যেমন স্থানটির শোভা বর্ধন হবে নতুন প্রজন্মরা জানতে পারবে ইতিহাস ঐতিহ্য। অন্যদিকে সরকার পাবে রাজস্ব। নির্মল বিনোদনের জন্যও একটি জায়গা পাবেন দর্শনার্থীরা।

প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলার উত্তর প্রান্ত ঘেঁষে ঐতিহাসিক কাজলা নদীর তীরে ইতিহাস জাতীয় জীবনের ও সভ্যতার স্মারক ভাটপাড়া নীলকুঠি। যা আজো ব্রিটিশ বেনিয়াদের নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অযত্ন-অবহেলায় এবং সংস্কারের অভাবে কুঠি বাড়িটি ধ্বংসের পথে।

মেহেরপুর অঞ্চলে ১৭৭৮ সালে ক্যারল ব্লুম নামে এক ইংরেজ নীলকুঠি স্থাপন করেন। ১৮১৫ থেকে ১৮২০ সালের মধ্যে মেহেরপুর অঞ্চলে যে কয়টি নীলকুঠি নির্মিত হয় তার মধ্যে ভাটপাড়া অন্যতম। নীল চাষ অত্যধিক লাভজনক হওয়ায় ১৭৯৬ সালে এ অঞ্চলে নীল চাষ শুরু হয়।

পানিতে পচা নীল গাছ পানি দিয়ে জ্বালিয়ে তৈরি করা হতো নীল রঙ। এক বিঘা জমিতে আড়াই থেকে ৩ কেজি নীল উৎপন্ন হতো। যা উৎপাদন করতে ব্যয় হতো ১২-১৪ টাকা। অথচ চাষিরা পেতেন মাত্র ৩-৪ টাকা। নীল গাছ থেকে যে রঙ তৈরি করা হতো তা ছিল চাষিদের বুকের পুঞ্জীভূত রক্ত। দীর্ঘদিন থেকে অযন্ত-অবহেলায় নীলকুঠির মূল্যবান সম্পদ চুরি হয়েছে। স্থাপনাগুলো ভগ্নদশা। একটি মাত্র ভবনের ধ্বংসাবশেষ দাঁড়িয়ে আছে। এটিকে ঘিরেই মূলত তৈরী হচ্ছে ডিসি ইকো পার্ক।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!