• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওবামার প্রেম প্রস্তাব প্রথমে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মিশেল!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ২৩, ২০১৮, ০৫:০৭ পিএম
ওবামার প্রেম প্রস্তাব প্রথমে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মিশেল!

ঢাকা : তার ল’ ফার্ম-এ তারই সহকারী হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন চনমনে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করতে আসার প্রথম দিনই দেরি করেছিলেন ওই যুবক। দিনটা ভালভাবেই মনে আছে মিশেল ওবামার। সালটা ১৯৮৯।

শিকাগোর সিডলি অ্যান্ড অস্টিন ল’ ফার্মে মিশেলের সহকারী হিসেবে যিনি যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তার নাম বারাক হুসেন ওবামা। আমেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট। তবে সাক্ষাতের প্রথমদিন তাকে বেশ পছন্দ হলেও তাকে একেবারেই নিজের জুনিয়র হিসেবে দেখতেন মিশেল।

তাই প্রথমবার যখন বারাক তাকে ডেট-এ যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মিশেল সটান জবাব দিয়ে দেন, ‘আই ডোন্ট ডেট’। পরে অবশ্য সেই সমীকরণ বদলেছিল। তিন বছরের মাথায় নিজের সেই জুনিয়র সহকারীর ঘরণী হন মিশেল। নিজের আত্মজীবনী ‘বিকামিং’-এ ওবামার সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরুর দিনগুলির কথা লিখেছেন প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি।

বইতে মিশেল আরো লিখেছেন, প্রথম দিন দেরি করার জন্য তিনি কিছুটা রেগে থাকলেও বারাকের মধ্যে এক অদ্ভুত ব্যতিক্রমী আভিজাত্য ছিল, যা প্রথমদিন থেকেই তার নজর কেড়েছিল। একদিন এক সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন দু’জন। সেখানে খাওয়ার পরেই সিগারেট ধরান ওবামা। যা মিশেলের নাকি একেবারেই পছন্দ হয়নি।

তিনি লিখেছেন, ‘বারাকের সিগারেট খাওয়াটা ছিল আমার বাবার মতো। খাওয়ার পরে হাঁটতে বেরিয়ে বা অসম্ভব কোনো চাপে থাকলে সিগারেট খেতেন আমার বাবা।’

কিছুদিন কাজ করার পরে বারাকই একদিন ডেট-এর প্রস্তাব দেন। মিশেল রাভন রবিনসনকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের মনে হয় একসঙ্গে বাইরে বেরোনো উচিত।’ জুনিয়রের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন প্রথমে। বলেই ফেলেছিলেন, ‘কী! তুমি আর আমি?’

পরে জানিয়েই দেন, তিনি ডেট করা পছন্দ করেন না। তাছাড়া বারাক যে তার সহকারী হিসেবে কাজ করছেন, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মিশেল। প্রথমবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বারাক দমেননি একেবারেই। উল্টে মিশেলকে বলেছিলেন, ‘জানি তুমি আমার বস। তবে ভীষণই কিউট।’

পরে অবশ্য পাল্টে গিয়েছিল সব হিসেব। তিন বছর পরে সেই জুনিয়রকেই বিয়ে করেছিলেন মিশেল রবিনসন। ১৯৯২ সালের ৩ অক্টোবর। মিশেলের নামের সঙ্গে জুড়েছিল ওবামা পদবী। বিয়ের পরে বারাকের আর নিজের কেরিয়ার এবং সংসার সামলাতে তিনি কী ভাবে হিমশিম খেতেন, তা-ও লিখেছেন মিশেল। তিনি বলেছেন, ‘ওই একটা লোকই আমার জীবনের সব অংকের হিসেব গোলমাল করে দিয়েছে।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!